আই-লিগের ‘লাস্ট বয়’ ওএনজিসি-র কাছে প্রায় হেরেই বসেছিল প্রয়াগ। ম্যাচের শেষ তিন মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য (পটলা)-র ভুল স্ট্র্যাটেজিতে দু’পয়েন্ট অম্বেডকর স্টেডিয়ামে রেখে আসতে হল তেল কোম্পানিকে।
বিপক্ষে র্যান্টি-কার্লোস-ভিনসেন্টের মতো তিন-তিন জন গোল ক্ষুধার্ত ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলেছেন ভেবে ওএনজিসি কোচ দলকে পুরোপুরি ডিফেন্সিভ করে ফেলতেই প্রয়াগ চেপে বসে খেলায়। বিপক্ষের কোনও কাউন্টার অ্যাটাক নেই তখন। যার সুযোগে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে শেষমেশ ৮৭ মিনিটে লেস্টার ফার্নান্ডেজের ক্রসে মাথা ঠেকিয়ে গোল শোধ করেন র্যান্টি মার্টিন্স (১-১)। যে গোলটি ২০০৪-’০৫ মরসুম থেকে আই লিগে খেলা র্যান্টির ১৫০তম গোল।
অথচ ওএনজিসি-র লাইবেরিয়ান মিডফিল্ডার এরিক ব্রাউনের দু’টো দর্শনীয় ফ্রি-কিক প্রয়াগকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। একটি সুব্রতকে দাঁড় করিয়ে গোলে ঢোকে। অন্যটিও সুব্রতকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লাগে। গতকালই প্রয়াগ কোচ সঞ্জয় সেন ‘অজানা’ প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলেদের। কিন্তু ডিফেন্সে গৌরমাঙ্গি, মাঝমাঠে কার্লোস এবং গোলের নীচে সুব্রত পাল কিছুটা নড়বড়ে থাকায় প্রয়াগের খেলা সে ভাবে দানা বাঁধেনি প্রথমার্ধে। র্যান্টিকে বল বাড়ানোর লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৩৫ মিনিটে সোয়ার্ভিং ফ্রি-কিকে অসাধারণ গোল করেন ব্রাউন।
ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে দেখে সঞ্জয় পরপর তিন জন পরিবর্ত নামিয়ে দেন লেস্টার, ভিনসেন্ট ও লালকমলকে। তার পরেই আস্তে আস্তে ম্যাচে ফেরেন র্যান্টিরা। ম্যাচের পর প্রয়াগ কোচ বলেন, “পুজোর মধ্যেও প্র্যাক্টিস বন্ধ রাখিনি। তবু আমার ছেলেরা আজ নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেনি। তবে এটা ম্যারাথন লিগ। এক-আধটা ম্যাচে এ রকম হবেই। পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।” আর সুব্রত বললেন “ওএনজিসি লিগে প্রথম পয়েন্ট পাওয়াতেই আমি খুশি।”
প্রয়াগ: সুব্রত, দীপক, গৌরমাঙ্গী, বেলো, সুখেন, তুলুঙ্গা, আসিফ, কার্লোস (ভিনসেন্ট), বিনীত (লেস্টার), রফিক (লালকমল), র্যান্টি। |