|
|
|
|
তৃণমূলের বিক্ষোভে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের বোর্ড মিটিংয়ে বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভে বাধা পেল মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বোর্ড মিটিং। শহরের ছোটবাজারের কাছে ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়েই শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সকাল ১১টা নাগাদ বোর্ড অফ ডিরেক্টরের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কয়েকজন সদস্য এসেও পৌঁছন। ইতিমধ্যে একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ব্যাঙ্কে পৌঁছে সভাঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, অবৈধ ভাবে মিটিং ডাকা হয়েছে। বিক্ষোভে সকালের মিটিং ভেস্তে যায়। সিপিএম পরিচালিত এই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান যুগলকিশোর তুঙ অবশ্য দাবি করেন, “সকালে না হলেও কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দুপুরে একটা মিটিং হয়েছে।” পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, “ব্যাঙ্কে এসে এ ভাবে হইচই করা অনভিপ্রেত। দাবি থাকতেই পারে। তা লিখিত ভাবে জানানো যায়।” |
|
বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ |
মেদিনীপুরের এই সমবায় ব্যাঙ্কে একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বিবেক সেনকে। বিবেকবাবুই ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার। জানা গিয়েছে, একটা সময় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ছিল ৩ বছর। ৩ বছর অন্তর সমিতির নির্বাচন হত। পরে তা ৫ বছর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্ক মিলিত ভাবে এই মামলা করে। ৩ বছর ধরলে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। আর ৫ বছর হলে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ওই মেয়াদ শেষ হবে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে বিবেকবাবুকে ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের দাবি, সম্প্রতি আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ৫ বছরই থাকবে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছিল। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সদস্য সংখ্যা ১৬। এখানে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি। শুক্রবার বৈঠক শুরু হওয়ার মুখে একদল তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ব্যাঙ্কে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই দলে ছিলেন স্বপন পাল, সঞ্জীব তোরুই প্রমুখ। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, ব্যাঙ্কে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তিনিই সব দেখভাল করছেন। এই পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান মিটিং ডাকতে পারেন না। তাঁদের দাবি, শূন্যপদে কয়েকজনকে নিয়োগ করতেই তড়িঘড়ি এই বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার বিবেকবাবু শুক্রবার ছুটিতে ছিলেন। তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রে ঠিক করণীয় তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি।” মিটিংয়ে যোগ দিতে ব্যাঙ্কে আসেননি মেদিনীপুরের বিধায়কও। কেন? মৃগেন মাইতি বলেন, “শুক্রবার মিটিং হবে বলে একটা চিঠি পেয়েছিলাম। তবে অন্য কাজ থাকায় যেতে পারিনি।” ঘনিষ্ঠ মহলে অবশ্য তাঁরও বক্তব্য, “ব্যাঙ্কের বিষয়টি আদালতের বিবেচনাধীন।” এ দিন সকালে বিক্ষোভ শুরু হতে না হতেই ব্যাঙ্ক চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। মিটিংয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার কথাই ছিল না। কেউ কেউ ভুল বুঝে থাকতে পারেন।” ব্যাঙ্কেরই এক সূত্রে খবর, পরিস্থিতি দেখে শুক্রবারের মিটিংটি স্থগিত করেন কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|