|
|
|
|
বাংলা থেকে ডাক ডালুকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও মালদহ |
ইউপিএ সরকার থেকে তৃণমূল সমর্থন তুলে নেওয়ার পরে মন্ত্রিসভায় আধ ডজন চেয়ার খালি। যার মধ্যে একটি পূর্ণমন্ত্রীর এবং বাকিগুলি প্রতিমন্ত্রীর। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত জন মন্ত্রী কমে যাওয়ার পরেও কিন্তু আসন্ন রদবদলের দু’দিন আগে দিল্লি থেকে ডাক পেলেন মাত্র এক জনই। আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)।
মালদহের সাংসদ তথা দলের সংখ্যালঘু মুখ আবু হাসেমকে এ দিন সকালে ক্যাবিনেট সচিব ফোন করে রবিবার দিল্লিতে থাকার অনুরোধ করেছেন। প্রত্যাশাপ্রার্থীদের তালিকায় আরও বেশ কয়েক জন ছিলেন। কিন্তু প্রদীপ ভট্টাচার্য, অধীর চৌধুরী, মৌসম নূর কিংবা দীপা দাশমুন্সির কাছে রাত পর্যন্ত কোনও ডাক আসেনি। যুব কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা মৌসম অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন না।
ডালুবাবু শুক্রবার দুপুরেই ফোন পাওয়ার কথা জানান। বলেন, “ক্যাবিনেট সচিব আমাকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেছেন।” বলেন, “দাদা (গনিখান) বেঁচে থাকলে আমার খবর শুনে ভীষণ খুশি হত।” গনি পরিবারের অন্য সদস্য তথা সাংসদ মৌসম নূর বলেছেন, “অনেক দিন ধরেই হাইকম্যান্ডকে বলছিলাম, ডালুমামাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হোক। শেষ পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন, এই খবর পেয়ে আমি খুব খুশি।”
কিন্তু বাংলা থেকে ডালুবাবু ছাড়া এখনও আর কেউ নেই কেন?
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, এখনও সময় রয়েছে। তাই চূড়ান্ত কিছু ধরে নেওয়া ঠিক নয়। কংগ্রেস-মমতা বিচ্ছেদের পরে দলের মধ্যে একটি মত গড়ে উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গে যে কংগ্রেস নেতারা মমতা-বিরোধী, তাঁদের কেন্দ্রে গুরুত্ব দেওয়া হোক। তা ছাড়াও বলা হয়, রাজ্য থেকে এত জন মন্ত্রী সরে গেলেন। এ বার যদি রাজ্যের প্রতিনিধি দিয়েই সেই জায়গা পূরণ করা হয়, তা হলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও নজরদারি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কিন্তু কংগ্রেসেরই আর একটি অংশ মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা মমতা-বিরোধী বলে পরিচিত, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়ার অর্থ তৃণমূল নেত্রীকে আরও চটিয়ে দেওয়া। বিচ্ছেদ হলেও এখনই সেই পথে হাঁটা ঠিক হবে না। তাঁকে এখনই এনডিএ-র দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনও অর্থও নেই। বরং তাঁর জন্য ভবিষ্যতের দরজা খোলা রাখাই সঠিক কৌশল। তবে এই দোলাচলের মধ্যেও আলোচনা চলছে। আগামিকাল বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এখনও পর্যন্ত ডাক না পাওয়ার কারণ হিসাবে প্রদীপ ভট্টাচার্যের যুক্তি, “আমার ধারণা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গে দলকে শক্তিশালী করতে আমায় সংগঠনে রাখতে চাইছে। কারণ বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে কংগ্রেস এখন কিছুটা হলেও মজবুত জায়গায় পৌঁছেছে।” শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী না হলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে থাকতে চান বলেও জানান প্রদীপবাবু। |
|
|
|
|
|