গ্রাম্য বিবাদের জেরে সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে জামশেদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও অন্য জনকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বলরামপুর থানা এলাকার কানহা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূলের বলরামপুর ব্লক কমিটির সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর অভিযোগ, “ওই গ্রামেরই সিপিএমের কিছু লোক নবমীর রাতে আমাদের এক কর্মীর চড়াও হয়ে তাঁকে গুলি করে। গ্রাম্য বিবাদকে ঘিরে ঝামেলা বাধলেও সিপিএমের স্থানীয় গেড়ুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক অস্ত্র নিয়ে দলীয় কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়।” সিপিএমের বলরামপুর জোনাল কমিটির সদস্য ত্রিলোচন দাসের দাবি, “ঘটনাটি নিছকই গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমাদের দু’জন সদস্য চোট পেয়েছেন। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষ।” পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
যাত্রীদের হাতে ‘প্রহৃত’ হলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার এক কর্মী। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার হুড়া থানা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সংস্থার পুরুলিয়া ডিপো একটি বাস বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। হুড়া হাটতলায় কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তোলা নিয়ে ওই কর্মী রঞ্জন সাহার সঙ্গে বচসা হয়। তিনি ফোনে বলেন, “বাসে ভিড় ছিল। হুড়া হাটতলায় কিছু যাত্রী বাসে উঠছিলেন। তাঁদের সঙ্গে মহিলা যাত্রীও ছিলেন।” তাঁর দাবি, “আমি তাঁদের জানাই, বাসে এত ভিড় যে আপনারা উঠতে পারবেন না। পরের বাসে আসুন। তাঁদের গন্তব্য ছিল ভগবানপুর। খুব বেশি দূর নয়। তার পরেও তাঁরা বাসে উঠতে চাইছিলেন। কথার মাঝেই বাস ছাড়তেই একজন পড়ে যান। আমিই তাঁকে কোনও রকমে সামলে নিই। কিন্তু তাঁরা বাসে উঠে আমার উপর চড়াও হন।” সংস্থার পুরুলিয়ার ডিপো ম্যানেজের অশোক চৌধুরী বলেন, “হুড়াতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আগে ওই কর্মীর কাছ থেকে রিপোর্ট পাই। তার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখব।”
|
বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে জখম হলেন দু’জন। মণ্ডপে হামলার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন বিকেলে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া মুড়রা গ্রামের এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। জখম দুই ব্যক্তি জয়দেব চক্রবর্তী ও পঞ্চানন মুখোপাধ্যায় মুড়রা গ্রামের বাসিন্দা। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি পুজো কমিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও অন্য পুজো কমিটির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
|
বিজয়া দশমীতে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাবণ পোড়ানো হল। কাশীপুর, আনাড়া, মাঠা ও আরও কয়েকটি জায়গায় আতসবাজি উৎসব হয়। বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। |