|
|
|
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার |
জমি অধিগ্রহণে বিশেষ দল গঠন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই বেসিন সংস্কারের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে চারটি ‘স্কোয়াড’ গড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
জমি অধিগ্রহণ এখন এ রাজ্যে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। যদিও বন্যার হাত থেকে বাঁচতে এই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে সকলে প্রস্তুত বলেই দাবি প্রশাসনের। তবুও জমি অধিগ্রহণের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকারের কাছে চারটি বিশেষ ‘স্কোয়াড’ তৈরির আবেদন জানিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই ‘বিশেষ দল’ তৈরির অনুমতি মিলেছে সম্প্রতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি বলেন, “রাজ্য সরকার চারটি স্কোয়াড গঠনের অনুমতি দিয়েছে। স্কোয়াড গঠনের কাজ চলছে। এই দলগুলি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অধিগ্রহণের কাজ করবে।”
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই বেসিন সংস্কারের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকেই প্রায় আড়াই হাজার একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘বিশেষ জমি অধিগ্রহণ’ দফতরে কর্মী সংখ্যা খুবই কম। তাই রাজ্য সরকারের কাছে চারটি নতুন ‘স্কোয়াড’ তৈরির আবেদন জানানো হয়েছিল। যে স্কোয়াডে আপাতত, চার জন করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে নিয়োগ করা হবে। এক-একটি স্কোয়াডে এক জন অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ আধিকারিক, এক জন তাঁর সহকারি, এক জন ক্লার্ক ও এক জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকবেন। জেলা বিশেষ জমি অধিগ্রহণ আধিকারিক হরিশ দে বলেন, “চারটি স্কোয়াডে কর্মী নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত স্কোয়াড গঠনের কাজ শেষ করা হবে।” কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই বেসিন সংস্কারের দাবি দীর্ঘ দিনের। এই প্রকল্পের জন্য ৬৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাঘাই, চণ্ডীয়া, দেউলি নদী সংস্কারের পাশাপাশি গণপথ, সতীর খাল-সহ একাধিক খাল সংস্কারের কথা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সবংকে আর ফি বছর বন্যায় ভাসতে হবে না। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং, পিংলা নয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলারও ময়না, ভগবানপুর, পটাশপুর উপকৃত হবে। সব মিলিয়ে দুই জেলার ১৫৭৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মানুষ এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে। সবংয়ের বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া সেচমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের কাজ জোরকদমে চলছিল। তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যে জোট ভেঙে যাওয়ার পরে অবশ্য মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন মানসবাবু। তবে, প্রকল্পের কাজ থামেনি। প্রাথমিক ভাবে সেচ দফতর যা রিপোর্ট দিয়েছে তাতে ১৬০ মৌজা থেকে প্রায় আড়াই হাজার একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। প্রথম ধাপে ৪৯টি জায়গায় জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩২টি জায়গায় অধিগ্রহণের সরকারি অনুমতিও মিলেছে (প্রায় ১৩৬ একর)। চলতি বছরে বন্যা হয়নি। তাই বর্ষার আগেই অনেকটা কাজ এগিয়েছিল। পুজোর পরেই ফের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় বিলম্ব না হয়, তার জন্যই বিশেষ দল তৈরিতে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|