|
|
|
|
 |
ফের হলদিয়া ছেড়ে গেল জাহাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও কলকাতা |
|
আবার হলদিয়া। অশান্তির জেরে আবার অন্য বন্দরে চলে গেল মালবোঝাই জাহাজ।
বন্দরে গোলমালের জেরে গত মাসে একটি জাহাজ চলে যায় বিশাখাপত্তনমে। বৃহস্পতিবার গেল আর একটি জাহাজ। কলকাতা বন্দর সূত্রের খবর, এই জাহাজটি এনটিপিসি-র দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে এসেছিল। বৃহস্পতিবারও স্যান্ডহেডে কাজ না হওয়ায় সেটি হলদিয়া ছেড়ে ওড়িশার ধামড়ার দিকে রওনা হয়ে যায়।
বন্দর সূত্রের খবর, এ বারও যে বার্থ নিয়ে গোলমাল, সেখান থেকে এবিজি-র মাল নামানোর কথা। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত যাবতীয় অশান্তি থামিয়ে হলদিয়া বন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা সত্ত্বেও গোলমাল যে অব্যাহত, সেটা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট। এ দিনও দুই ও আট নম্বর বার্থে কাজ হয়নি। দু’টি বার্থেই মাল ওঠানো-নামানোর কাজ করার কথা এবিজি-র। স্বাভাবিক কাজকর্ম না হওয়ায় স্যান্ডহেডে দাঁড়িয়ে থাকা ‘এসটিএক্স মুটিয়ারা’ নামের জাহাজটি ধামড়া বন্দরের দিকে রওনা হয়। ওই জাহাজটি এনটিপিসি-র ফরাক্কা এবং কহলগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আসছিল বলে সূত্রের খবর। যদিও হলদিয়া বন্দরের ম্যানেজার ট্রাফিক (শিপিং) দামোদর নায়েক বলেন, “জাহাজ যখন এসেছে, তখন সেই পণ্য হলদিয়াতেই আসবে শুনেছিলাম। তবে স্যান্ডহেডেই পণ্য খালাসের কাজ হওয়ার কথা। সেখানে কী হয়েছে বলতে পারব না।”
কী হয়েছিল এ দিন? হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, বন্দরের একশো মিটারের মধ্যে কোনও শ্রমিক সংগঠন আন্দোলন করতে পারবে না। তাই বন্দর থেকে ১০০ মিটার দূরে রানিচক মোড়ে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান শুরু করেন এবিজি-র ছাঁটাই শ্রমিকরা। তবে কোনও দলীয় ব্যানার বা পতাকা ব্যবহার করা হয়নি। এবিজি-তে যাঁরা এখন কাজ করছেন, বন্দরের মূল গেটে প্রবেশের মুখে এই অবস্থানে তাঁরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। কাজে যেতেও ভরসা পাচ্ছিলেন না। ফলে কাজে ছেদ পড়ে।
অথচ, দুই ও আট নম্বর বার্থে যাতে শ্রমিকরা বিনা বাধায় কাজ করতে পারেন, সেই নির্দেশই দিয়েছিল হাইকোর্ট। তা হলে? হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “শুনেছি শ্রমিকরা একটা মঞ্চ করেছেন। তবে সেখান থেকে কাউকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে নেই। গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ অবস্থান করতে পারেন।”
বন্দরে কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে যে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেছে হাইকোর্ট, তার খরচ বহন করার কথা এবিজি-র। যদিও এবিজি এখনও সেই অর্থ জমা করেনি বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। বন্দরের শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) ছাড়াও ১০০ মিটারের মধ্যে আপাতত ৬৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এসডিপিও বলেন, “আমরা এবিজি-কে জানিয়ে দিয়েছি কত ফোর্স লাগবে। এবিজি টাকা জমা করলেই পুলিশ মোতায়েন করব।” |
|
|
 |
|
|