২৯ মাস পর
তালেগোলে বাগান তাঁবুতে ট্রফি
রিম বেঞ্চারিফা কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সম্ভবত ট্রফির খরা কাটতে চলেছে মোহনবাগানে।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে দু’বছর পাঁচ মাস পর ট্রফি ঢুকতে চলেছে গঙ্গাপারের তাঁবুতে। মহমেডান টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেওয়ায় ফাইনাল না খেলেই এয়ারলাইন্স কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে টোলগে-ওডাফাদের ক্লাব। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিদেশে। তিনি ৩০ অক্টোবর শহরে ফেরার পরই সরকারি ঘোষণা। মোহনবাগান শেষ ট্রফি পেয়েছিল ২০১০ সালের ২৫ মে। কলকাতা লিগ জিতেছিল তারা। এর পর শুধুই অন্ধকার।
বারবার ফাইনাল পিছনোয় বিরক্ত মহমেডান কর্তারা সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা এয়ারলাইন্স কাপের ফাইনাল খেলবেন না। দল তুলে নেওয়ার চিঠিও আই এফ এ-কে দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। প্রেসিডেন্ট সুলতান আমেদ বলে দিলেন, “তিন মাস ধরে একটা ট্রফি চলছে। পাঁচ বার ফাইনাল স্থগিত হয়েছে। কখনও কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনাল এত বার স্থগিত হয়েছে আমার জানা নেই। ট্রফি জেতার আকর্ষণটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা তাই টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নিয়েছি। সিদ্ধান্ত বদলানোর কোনও প্রশ্নই নেই।” কিন্তু এতে তো মোহনবাগানের সুবিধা হল? ওরা তো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। মহমেডান প্রেসিডেন্ট বললেন, “সে হোক। তাতে কিছু যায় আসে না। মোহনবাগানের সমস্যার জন্যই কিন্তু বারবার ফাইনাল পিছিয়েছে।”
এয়ারলাইন্স ক্লাবের সচিব সমরেশ বসু রায় অবশ্য মহমেডানের অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ যদি বারবার ম্যাচ করার অনুমতি দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাতিল করে তা হলে আমরা কী করব?” তাঁর দাবি, “১৬ অক্টোবর ফাইনাল করার জন্য পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল। হঠাৎ একদিন আগে যদি তারা বলে অনুমতি দেওয়া যাবে না তা হলে কিছু করার থাকে না। তা সত্ত্বেও চেষ্টা করেছিলাম ব্যক্তিগত নিরাপত্তরক্ষী দিয়ে ম্যাচ করাব। কিন্তু ঝামেলার কথা ভেবে পরে আই এফ ও ঝুঁকি নিতে চায়নি।” সমরেশ অবশ্য ইতিমধ্যেই চিঠি প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছেন মহমেডান কর্তাদের কাছে। বললেন, “মহমেডান খেলতে চাইছে না। আই এফ এ সচিব কলকাতায় ফিরলে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
Nationa• | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.