তিন কন্যার কাহিনি
সাইনার ডেনমার্ক-জয়, সানিয়ার ‘জয়’ বব ব্রায়ান
দুর্গাপুজোর মধ্যে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন এবং টেনিসের সর্বকালের দুই সেরা কন্যা দু’টো নজির গড়ে ফেললেন। সাইনা নেহওয়াল তাঁর অলিম্পিক-ফর্ম বজায় রেখে লন্ডন-উত্তর প্রথম টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন। মহাসপ্তমীর দিন ওডেনসি-তে সাইনা জেতেন তাঁর প্রথম ডেনমার্ক ওপেন সুপার সিরিজ। আর সানিয়া মির্জা প্রত্যাশিত ভাবেই ২০১৩-এ মিক্সড ডাবলস পার্টনার পেয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ ডাবলস প্লেয়ার বব ব্রায়ানকে। জানুয়ারির অস্ট্রেলীয় ওপেনে হাইপ্রোফাইল ইন্দো-মার্কিন মিক্সড ডাবলস জুটির আত্মপ্রকাশ। বিশ্বের তিন নম্বর (ডেনমার্ক-খেতাব সাইনাকে চার থেকে তিনে তুলে দিয়েছে) হায়দরাবাদি ব্যাডমিন্টন তারকা ফাইনালে এক রকম উড়িয়ে দেন বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বর জার্মান জুলিয়েন শেঙ্ক-কে ২১-১৭, ২১-৮।
অলিম্পিক বছরে সাইনার সাফল্য
• ২টি সুপার সিরিজ (ইন্দোনেশিয়া এবং ডেনমার্ক)
• ২টি গ্রাঁপ্রি টুর্নামেন্টে সোনা (সুইস এবং তাইল্যান্ড)
• লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ
পেশাদার ব্যাডমিন্টন সার্কিটে বছরে বারোটি সুপার সিরিজ হয়। সাইনা এর আগে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকং সুপার সিরিজ জিতেছিলেন। ডেনমার্ক তাঁর চতুর্থ সুপার সিরিজ খেতাব। ইউরোপিয়ান সার্কিটে সাইনা চলতি সপ্তাহে খেলছেন ফরাসি ওপেন। এবং প্যারিসেও অলিম্পিক ব্রোঞ্জজয়ী সাইনা কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন। এ দিন বাইশ বছর বয়সি শীর্ষ বাছাই ভারতীয় মেয়ে ২১-১৬, ২১-১২ হারান তাইল্যান্ডের সাপসিরি-কে। অন্য দিকে, মহাদশমীর দিন সানিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে বিখ্যাত জমজ ব্রায়ান ভাইদের অন্যতম বব বলেছেন, “আমার সার্ভ আর সানিয়ার রিটার্ন দুর্দান্ত মিক্সড ডাবলস টিম তৈরি করবে।” ক্রিকেট সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকলেও সানিয়ার স্বামী শোয়েব মালিক যে এক জন ‘বিখ্যাত পাকিস্তানি ক্রিকেটার’ বব সেটা জানেন। সানিয়া এবং তিনি দু’জনেই ডিউস কোর্টের প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের জুটি জমে যাবে বলেও বব ব্রায়ানের বিশ্বাস।

মিশরে ব্রোঞ্জ জিতেও সমস্যায় পৌলমী
ইজিপ্টে ইউরো-আফ্রিকান টুর্নামেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জিতে ফিরলেন পৌলমী ঘটক। টেবল টেনিসের সাত বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পৌলমী সেমিফাইনালে হারলেন স্পেনের সারা রামিরেজের কাছে। সারাই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গত বছর এই টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন পৌলমী। শরথ কমল বাদে ভারত থেকে টেবল টেনিসের প্রায় সব তারকাই গিয়েছিলেন ইজিপ্টে। অসুস্থতার জন্য যাননি অলিম্পিয়ান বাংলার অঙ্কিতা দাস। আন্তর্জাতিক পদক পেলেও পৌলমী চিন্তিত বিদেশে খেলতে যাওয়া নিয়ে। বললেন, “স্পনসরের অভাবে বিদেশে খেলার সুযোগ থাকলেও যেতে পারছি না। র্যাঙ্কিংও তাই বাড়ছে না। জাতীয় দলেরও তো এখন স্পনসর নেই।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
Nationa• | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.