টুকরো খবর
বুথকে আনলেও করিমকে এখনই ছাড়ছে না সালগাওকর
যাঁকে পিছনে ফেলে মোহনবাগানের কোচ হয়েছেন করিম বেঞ্চারিফা, নাটকীয়ভাবে সেই ডেভিড বুথকেই সালগাওকর তাদের কোচ করে নিয়ে এল। সালগাওকর সচিব রাজ গোমসকে বৃহস্পতিবার গোয়ায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে বললেন, “ডেভিড বুথ সালগাওকরের কোচ হয়ে আসছেন। তাঁর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২ নভেম্বরের মধ্যে গোয়ায় এসে তিনি দলের দায়িত্ব নেবেন।” মজার ব্যাপার অন্য জায়গায়। চুক্তি অনুযায়ী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত করিম গোয়ার ক্লাবের কোচ। তা হলে ম্যাচের সময় বুথ না করিম কে কোচ হয়ে বসবেন রিজার্ভ বেঞ্চে? ক্লাবের সচিব অবশ্য বললেন, “বুথই বসবেন।” কোচের পদ থেকে যদি করিমকে সরিয়েই দেওয়া হয় তা হলে তো তিনি মুক্ত হয়ে যাবেন? সে ক্ষেত্রে তিনি তো মোহনবাগানে যোগ দিতেই পারেন। যা শুনে রাজ গোমস বেশ বিব্রত। “না, না করিমকে আমরা ছাড়ছি না। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ওকে থাকতেই হবে।” ব্রিটিশ কোচ বুথ বরাবরই রগচটা মানুষ। মহীন্দ্রায় থাকার সময় নানা ঝামেলায় জড়িয়েছেন। বুথের সঙ্গে মুখোমুখি ঝামেলা এড়াতে করিম নতুন চাল দিয়েছেন। তিনি সালগাওকর কর্তাদের জানিয়েছেন, মরোক্কোয় তাঁর বাবা খুব অসুস্থ। পনেরো দিনের ছুটি নিয়ে সেখানে যেতে চান। সালগাওকর তাঁর আবেদন মঞ্জুর করছে। তবে বেতন ছাড়াই। সালগাওকর সচিব বললেন, “করিমের বাবা অসুস্থ তাই ওকে ছাড়ছি। মরক্কো থেকে ফিরে ও ছাড়পত্র নেবে। তবে এই সময় ও কোনও বেতন পাবে না।”

আমি আর বীরুই সেরা ওপেনিং জুটি: গম্ভীর
গত বারো মাস তাঁদের ওপেনিং জুটিতে শতরান ডোডো পাখির মতো উধাও। এর মধ্যে রয়েছে গত মরসুমে মাইকেল ক্লার্কদের দেশে হতশ্রী পারফরম্যান্স। যেখানে আট ইনিংস মিলিয়ে সহবাগ-গম্ভীরের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ২৬ রানের। কিন্তু দেশের মাটিতে আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের আগে সেই সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে গৌতম গম্ভীর বলছেন, সহবাগ এবং তিনিই দেশের সেরা ওপেনিং জুটি। বদলার সিরিজ শুরুর আগে নাইট অধিনায়কের সাফ কথা, “টেস্টে আমাদের ওপেনিং জুটির গড় ৫৩। প্রতি ইনিংসে ৫০ রানের পার্টমনারশিপ যদি দুই ওপেনার করে তা হলে সমালোচনা হয় কী ভাবে? যাঁরা এই ব্যাপারটা নিয়ে অহেতুক গলা ফাটাচ্ছেন তাঁরা বরং পরিসংখ্যান খুলে দেখতে পারেন।” টেস্টে ভারতের দুই দিল্লিওয়ালা ওপেনারের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। যদিও ওয়াসিম আক্রমের মতো অনেকেই ওপেনিংয়ে এখনই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে না গিয়ে বীরু-গোতি জুটির উপরই আস্থা রাখতে বলে জোরালো সওয়াল করেছেন। টেস্টে শেষ চব্বিশ মাসে দু’জনেরই কোনও ব্যক্তিগত শতরানের ইনিংস নেই। গম্ভীর এ ব্যাপারেও মাথা ঘামাতে নারাজ। বরং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলছেন, “রোজ রোজ সেঞ্চুরি হয় না। আর সেঞ্চুরির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আপনি বাইশ গজে গিয়ে দলের হয়ে কতটা দায়িত্ব পালন করতে পারছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৯৩ এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৮৫ রানের ইনিংসগুলোতে কিন্তু সেই দায়িত্ববোধ ছিল।”

সচিনের সম্মানের পক্ষে সওয়াল ওয়েবারের
ভারতের ফর্মুলা ওয়ানে রেস করতে আসা মার্ক ওয়েবার যেহেতু অস্ট্রেলিয়ান, সে জন্য ক্রিকেট সম্বন্ধে তাঁর কিছুটা হলেও আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। এবং আগ্রহ রয়েছেও। ডনের দেশে এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে গরমাগরম বিষয় হল, সচিন তেন্ডুলকরকে সে দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান ‘অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। নীল হার্ভি থেকে ম্যাথু হেডেনঅনেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ব্যক্তিত্বই যা নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার এই ব্যাপারে কী বলেন? ওয়েবারকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিতে তিনি অবশ্য বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ভারতীয় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই প্রতিক্রিয়া দিলেন আনন্দবাজারকে। ওয়েবার বললেন “আমি যত দূর জানি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদেরই একমাত্র এই সম্মান দেওয়া হয়। আর যদি আগেও বিদেশিদের এই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে তা হলে তো সচিনকে নিয়ে বিতর্ক ওঠা উচিত নয়। কারণ সচিন তো এক জন কিংবদন্তি। এক জন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে এই সম্মান দেওয়াটা তো গর্বের। তা ছাড়া সচিন তো স্বয়ং ডন ব্র্যাডম্যানের সবথেকে প্রিয় ক্রিকেটার। আমার তো মনে হয়, এই বিতর্ক বন্ধ হওয়া দরকার।”

গাওস্করকে বোর্ডের ‘লাইফটাইম’
সাফল্যের মুকুটে ফের পালক জুড়তে চলেছে সুনীল গাওস্করের। ভারতীয় ক্রিকেটে সারা জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বার কর্নেল সি কে নাইডু ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দশ হাজার রানের শৃঙ্গে আরোহণ করা ভারতীয় ওপেনার। আগামী ২১ নভেম্বর মুম্বইয়ে বোর্ডের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গাওস্করের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কার বাবদ সি কে নাইডু ট্রফি এবং ২৫ লক্ষ টাকার সাম্মানিক চেক প্রদান করা হবে তাঁকে। গাওস্করের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে সাত প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটারকে মরণোত্তর সম্মান জানাবে বোর্ড। এঁরা হলেন বিজয় মার্চেন্ট, বিনু মাঁকড়, দাত্তু ফাড়কর, বিজয় মঞ্জরেকর, গুলাম আমেদ, এম এল জয়সীমা এবং দিলীপ সরদেশাই।

সাঁতারে কৃতিত্ব
সম্প্রতি পুনেতে ‘স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’ আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাঁতারে বিশেষ কৃতিত্ব দেখাল খড়্গপুর আইআইটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী তৃষা দত্ত ও ঐন্দ্রিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাঁতারের বিভিন্ন বিভাগে দু’জনেই একটি করো সোনা, একটি রূপো ও একটি করে ব্রোঞ্জ পদক পান। ১৬-২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ৪৩তম এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আয়োজক ছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের মুম্বই রিজিয়ন। তৃষা ও ঐন্দ্রিলা দু’জনেই কলকাতা রিজিয়নের হয়ে যোগ দেয়। তৃষা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় আইআইটি খড়্গপুরের একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের ও ঐন্দ্রিলা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। তৃষার বাড়ি শহরের তালবাগিচায় এবং ঐন্দ্রিলা প্রেমবাজারের বাসিন্দা। শহরের দুই মেয়ের কৃতিত্বে খুশি খড়্গপুরবাসী।

র‌্যান্টিরা আজ ‘লাস্ট বয়ের’ বিরুদ্ধেও সতর্ক
শুক্রবার অম্বেডকর স্টেডিয়ামে লিগ তালিকায় একদম শেষে থাকা ওএনজিসি-র মুখোমুখি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা র‌্যান্টি মার্টিন্সদের কোচ সঞ্জয় সেন সতর্ক, “প্রতিপক্ষ অচেনা। তাই সতর্ক থাকতে হবে।” ওডাফা-টোলগেদের হারানো এখন অতীত। পরপর দু’ম্যাচ জিতে আই লিগে দুরন্ত শুরুর পরেও দুর্বল প্রতিপক্ষকেও হালকা ভাবে নিতে নারাজ দীপক-গৌরমাঙ্গীরা। প্রয়াগ ডিফেন্সের দুই স্তম্ভেরই এক কথা, “পরপর দুটো ম্যাচ জেতা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। কালকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে।” প্রয়াগ শিবিরে স্বস্তি, ওএনজিসি-র বিরুদ্ধে রক্ষণে ফিরছেন বেলো রাজাক। আক্রমণ ভাগে র‌্যান্টির সঙ্গে দেখা যাবে রফিককে।

কোচ প্রয়াত
কুমোরটুলির কোচ দেবনারায়ণ রায় (৫৯) বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন।

শুক্রবার আই লিগে
প্রয়াগ ইউনাইটেড-ওএনজিসি (নয়াদিল্লি, ৩-০০)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
Nationa• | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.