ভারতীয় টিমগুলোর কাছে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা মোটেই ভাল গেল না। সত্যি বলতে কী, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে এ দেশে লোকে কতটা আগ্রহী, তা নিয়ে আমার ভাল রকম সন্দেহ আছে। আমার তো মনে হয়, সম্প্রচারকদেরও ভাল রকম ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে টুর্নামেন্টটা নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টেডিয়ামগুলোর গ্যালারি ফাঁকা পড়ে থাকাই তো সব বলে দিচ্ছে।
ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ভারতের কী হয়েছিল, আমরা জানি। সবারই মনে আছে, কতটা বিশ্রী ভাবে সেখানে হারতে হয়েছিল। আর এখানে দেখা গেল, আইপিএলের তিনটে শক্তিধর টিম সেমিফাইনালেও পৌঁছতে পারল না। ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে কি তা হলে ব্যাপারটা চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে? বাইরের পিচে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেটাররা? গত দশ বছর ধরে দেশের বাইরে ভারতীয়দের গর্ব করার মতো যে রেকর্ড ছিল, তাতে কী চিড় ধরছে? এই প্রশ্নগুলো সম্পর্কে নিজের মতামত আর কিছু দিন অপেক্ষা করে দেব। আশা করব, ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিদেশের মাটিতে খুব তাড়াতাড়ি মেজাজে ফিরবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, ঘটনাগুলো চিন্তায় ফেলার মতো। দ্রুত এর সমাধান খোঁজা দরকার।
কেকেআরকে একেবারে শেষ ম্যাচে চেনা কেকেআর মনে হচ্ছিল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। গৌতম গম্ভীরকে ধারাবাহিক মনে হয়নি। আইপিএলে ও দুর্দান্ত ফর্মে ছিল। নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে যা একটা কারণ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুভিং বলের সামনে পরীক্ষার মুখে পড়তে হল গম্ভীরকে। তবে কেকেআরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াল ওদের স্পিন-নির্ভর বোলিং। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ থেকে কোনও সুবিধা পায়নি স্পিনাররা। বিপক্ষকেও তাই নাইটরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। আমি তো বলব, নাইটদের ডুবিয়ে দিল অকল্যান্ড এসেস ম্যাচ। সে দিন বোলিং কম্বিনেশনটা ঠিক হয়নি। ব্রেট লি-কে বসিয়ে সে দিন কেপটাউনে সাকিবকে খেলানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আর এই ধরনের টুর্নামেন্টে যদি আপনি পরপর হারতে থাকেন, ফিরে আসাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচে আবার বৃষ্টি নেমে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে দিল কেকেআরকে। আসলে এ রকম অচেনা পরিবেশে ভারতীয়দের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। সেখানে ম্যাচগুলো এত গায়ে গায়ে ছিল যে, ওরা গুছিয়ে নেওয়ার সময় পায়নি। সোজা কথায়, কেকেআরকে দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে খুব সাধারণ দেখিয়েছে। অন্তত শেষ ম্যাচের আগে পর্যন্ত। দ্রুতগতির পিচে নিজেদের খামতিগুলো ঢাকার জন্য ওদের অনেক খাটতে হবে। পেসের সামনে ওদের ব্যাটসম্যানদের স্কিল বা টেম্পারামেন্ট, কোনওটাই বিশেষ ভাল লাগেনি আমার।
|
সহবাগরাও ছিটকে গেলেন
সংবাদসংস্থা • ডারবান |
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি থেকে শেষ ভারতীয় দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসও বিদায় নিল। কিংসমিডে সহবাগের দলকে সেমিফাইনালে ২২ রানে হারাল লায়ন্স। টস জিতে সহবাগ বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠালে লায়ন্স ২০ ওভারে করে ১৩৯-৫। জবাবে সহবাগকে (০) প্রথম বলেই হারানোর পরে দিল্লি তোলে ১১৭-৯। কেভিন পিটারসেন-ই (৫০) যা লড়েছেন। |