ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের পা পড়ার আগেই সিরিজ নিয়ে উত্তাপ বাড়তে শুরু করে দিল।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যদি প্রথম বাউন্সারটা দেয় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘এ’ দলে কোনও স্পিনার না রেখে, তা হলে এ বার পাল্টা মারটা এল ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনের কাছ থেকে। ভন আজ টুইট করে বলেছেন, “ওয়ার্ম আপ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘এ’ দলে কোনও স্পিনার রাখেনি ভারত। এটা কী হচ্ছে? খেলাটা শেষ পর্যন্ত এখানে এসে দাঁড়িয়েছে? খুব খারাপ ট্যাকটিক্স।” প্রসঙ্গত, ৩০ তারিখ থেকে মুম্বইয়ে ভারত ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইংল্যান্ড। যে দলে যুবরাজ সিংহ আছেন। বাংলা থেকে আছেন মনোজ, দিন্দা, ঋদ্ধিমান। চার জন পেসারকে রাখা হলেও সন্দীপ পাটিলের নির্বাচক কমিটি কোনও স্পিনারকে দলে রাখেনি। ১৫ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের কোনও ভাবে স্পিনের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস করার সুযোগ যে ভারত দিতে চায় না, সেটা পরিষ্কার।
আর সেটা বুঝেই ইংল্যান্ডের অ্যাসেজজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ভারতীয় বোর্ডকে এক রকম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ভারত তো হোম অ্যাডভান্টেজ কথাটার মানেই বদলে দিচ্ছে। স্পিনিং ট্র্যাক করো, বুঝলাম। কিন্তু এটা যা হচ্ছে, তা খেলাটার স্পিরিট বিরোধী। ভারতের এই ট্যাকটিক্স ক্রিকেটের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর পর অন্য টিমরাও তো এ রকম কিছু করতে পারে।”
এক দিকে ভন যখন বিষোদ্গার করছেন, তখন অন্য দিকে আজ ভারত সফরে রওনা দেওয়ার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুককে। এবং তার প্রধান কারণ কেভিন পিটারসেন। কুকু এ দিন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, “ক্যাপ্টেন হিসাবে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার চাওয়ার ছিল না। এক জন বিশ্বমানের ক্রিকেটারকে নিয়ে আমরা ভারতে আসছি। ওর কাছ থেকে এখন আমার একটাই চাহিদা। অতীতে যেমন রান করেছ, সে রকমই করে যাও আর আমাদের ম্যাচ জেতাও।”
শোনা যাচ্ছে, ভারত সফরে কেপিকে দলে ফেরাতে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়কেরই। কুক এখন বলে দিচ্ছেন, পিটারসেনকে নিয়ে যে এসএমএস বিতর্ক হয়েছিল, তা পুরোপুরি অতীত। “পিটারসেনের সঙ্গে আমাদের যে মিটিং হয়েছিল, তাতে সব কিছু নিয়েই কথা হয়। আমরা সবাই জানতাম, ও দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। সে জন্যই ওকে দলে নেওয়া হয়। পিটারসেনও গত দু’মাস খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন ও আত্মবিশ্বাসী, ভারত সফরে নিজের সেরাটা দিতে পারবে।”
পিটারসেন অবশ্য ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে আগামিকাল ভারতে এসে পৌঁছচ্ছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে তবে ভারতে আসবেন পিটারসেন। |