|
|
|
|
নতুন খসড়া নীতি কেন্দ্রের |
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করতে পারবে বেসরকারি সংস্থাই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’-এর দায়িত্ব বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি নিজেদের হাতেই রাখতে পারবে বলে জানাল কেন্দ্র। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির ঠিক আগে নিজেদের অবস্থান কার্যত একশো আশি ডিগ্রি বদলে ফেলল তারা।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। তার পরই বিবৃতিতে এই নয়া খসড়া নীতি ঘোষণা করে মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, “সব বেসরকারি (এমনকী বিদেশিও) বিমান পরিবহণ সংস্থাই ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’-এর দায়িত্ব নিজেদের হাতে রাখতে পারবে। সুতরাং, বিমান বন্দরের টার্মিনালে যাত্রী ও তাঁদের মাল-পত্র নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ করতে পারবেন সংস্থার কর্মীরাই। নিজেদের ‘হাব’ বিমানবন্দরে একই সুবিধা পাবে মালবাহী বিমান সংস্থাগুলিও।” যে সব বিমানবন্দর সামরিক বাহিনীও ব্যবহার করে, সেখানে অবশ্য নিরাপত্তার কারণে তা করতে পারবে না বিদেশি বিমান বা বেসরকারি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা।”
আরও এক ধাপ এগিয়ে মন্ত্রীর দাবি, এ বার শুধুমাত্র গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্যই আলাদা শাখা গড়তে পারে বেসরকারি সংস্থাগুলি। প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে খরচ কমাতে ব্যবহার করতে পারে বিভিন্ন বিদেশি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থাকে। তবে নিরাপত্তার জন্য এই দায়িত্ব পুরোদস্তুর ‘আউটসোর্স’ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে বিমান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, যাত্রীদের বিমানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মালপত্র পরিবহণ পর্যন্ত বিমানবন্দরের প্রায় যাবতীয় কাজ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঠিকা কর্মীরা। কেন্দ্রের দাবি ছিল, এতে বিঘ্নিত হচ্ছে নিরাপত্তা। তাই ছয় মেট্রো শহর-সহ বেশ কিছু বিমানবন্দরে তা শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মতো সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে করাতে নির্দেশ দেয় তারা।
গোড়া থেকেই এর ঘোর বিরোধী বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি। তাদের অভিযোগ, এতে কমবে দক্ষতা। এ ছাড়া বাড়তি সময় লাগবে বিমানকে ফের উড়ানের জন্য তৈরি করতেও। ফলে টান পড়বে ব্যবসার ভাঁড়ারে। তাই কেন্দ্রের প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা।
কিন্তু নিরাপত্তার যুক্তিতে কেন্দ্রের পক্ষেই রায় দেয় হাইকোর্ট। এর পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় সংস্থাগুলি। এখন নতুন খসড়া নীতি পেশ করে আদালতের বাইরেই এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে অনেকের দাবি। |
|
|
|
|
|