|
|
|
|
কলকাতায় ফেরা হল না শিলচরের অভিষেকের |
উত্তম সাহা • শিলচর |
পুজোয় বাড়ি এসেছিলেন শিলচরের অভিষেক রায়। কিন্তু পুজো শেষে আর কলকাতা ফেরা হল না তাঁর। দশমীর সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এম টেকের ছাত্র অভিষেক। এই ঘটনা ঘিরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে তিন জন জখম হয়েছে। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
অভিষেক কলকাতার হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এম টেক পড়ছিলেন। কৃতী ছাত্র বলে, একই কলেজের বি টেক কোর্সেরও অস্থায়ী শিক্ষক ছিলেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা মনতোষ রায় কাছাড় পেপার মিলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার। সপরিবার থাকেন পাঁচগ্রামের আবাসনে। অভিষেক ১৩ অক্টোবর কলকাতা থেকে এসে সেখানেই ছিলেন। নবমীর দুপুরে মা-বাবার সঙ্গে চলে আসেন শিলচরের বাড়িতে। এক আত্মীয়ের মোটর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। পুজো দেখতে বেরোন বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে। মোটরসাইকেল রেখে দেন রাঙ্গিরখাড়িতে।
দশমীর ভোরে যখন গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, তখনই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিষেক। পিছনে ছিলেন প্রতিবেশী যুবক সম্রাট রায়। তিনি এখন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা চালককে না পেয়ে ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। রাঙ্গিরখাড়ির সড়ক অবরোধ করে জনতা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ন্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে গেলে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। এক ট্রাফিক পুলিশের মোটর সাইকেলও জ্বালিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাফিক ইনচার্জ অমিয়ভূষণ দে-সহ তাদের তিন জন জখম হয়ে এখন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ দিকে, নবমী-দশমীতে কাছাড় জেলায় আরও তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিলচর আশ্রম রোডের রিংকু দাস কাল প্রতিমা বিসর্জনে বেরিয়েছিলেন। আজ সকালে তাঁর মৃতদেহ বাড়ির কাছাকাছি একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। দশমীর সকালে পৃথক ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে জয়পুর থানার পুটিছড়ার রামানুজ বর্মন এবং ধলাই থানার গুরুদয়ালপুরের সুভাষ রিকিয়াসনের। দু’জনের দেহেই ছিল আঘাতের চিহ্ন। |
|
|
|
|
|