|
|
|
|
বিসর্জন সম্পন্ন অধিকাংশ পুজোরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় পুলিশ অক্টোবরের ২৬ ও ২৭ তারিখ (শুক্র ও শনিবার) প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রেখেছে। আসন্ন ঈদুজ্জোহা উৎসবের কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী এমনটা চেয়েছিলেন। কার্যত তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই শহরের বড়-ছোট অধিকাংশ পুজোর প্রতিমাই একাদশীর মধ্যে বিসর্জন হয়ে গেল।
লালবাজার সূত্রের খবর, বুধবার, দশমীতে বড় পুজোগুলির সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে শহরের বিভিন্ন সাবেক পুজোও। কিছু নামী পুজো কমিটি বৃহস্পতিবারও প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে। যেমন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, একডালিয়া এভারগ্রিন, ত্রিধারা, সিংহী পার্ক, শিকদারবাগান, তেলেঙ্গাবাগান। |
|
বিদায়। আসছে বছর আবার হবে। প্রতীক্ষার বোধনেই উৎসবের অন্ত। |
সুরুচি সঙ্ঘ, কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্কের মতো কিছু কমিটি এ দিন বিসর্জন দেয়নি। বিরতির পরে রবিবার তারা প্রতিমা বিসর্জন দেবে। সুরুচি সঙ্ঘের পুজো-কর্তা, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সরস মন্তব্য, “দর্শকদের এমনই চাপ যে, প্রতিমা আর দু’দিন রাখতে না পারলে চলত না।” বস্তুত দশমীর রাত তিনটেতেও দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ে ওই পুজোর মণ্ডপে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জাভেদ শামিম জানান, আগামী রবিবার, বিসর্জনের শেষ দিনেও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার ২৭৬৮টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে শহরের বিভিন্ন ঘাটে। আর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৪০টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। নিজের পাড়ার ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দিতে এ দিন সপরিবার বাবুঘাটে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
দশমীর সন্ধ্যা থেকেই গ্বালিয়র ঘাট, বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, বাগবাজার ঘাটে একের পর এক শুরু হয়। অভিযোগ, প্রতিমার তুলনায় বাহক ছিল কম। ফলে অনেক বারোয়ারি পুজো কমিটিকেই রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। দক্ষিণ কলকাতার এক পুজো কমিটির কর্তা বলেন, “রাত ১০টা এসেও একটা পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করতে হয়।”
পুলিশ ও পুরসভার দাবি, অন্য বারের মতো এ বারও বিসর্জনের আয়োজনে ত্রুটি ছিল না। |
|
|
|
|
|