|
|
|
|
পুজোর শহরে ৬টি দুর্ঘটনায় মৃত ৯ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নবমীর রাত থেকে দশমীর রাত পর্যন্ত ছ’টি পৃথক দুর্ঘটনায় কলকাতা ও হাওড়ায় মোট নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন ১৬ জন। অধিকাংশেরই বয়স ২১ থেকে ২৬-এর মধ্যে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোটরবাইক নিয়ে বেপরোয়া ভাবে কলকাতা কিংবা শহরতলির রাস্তায় অল্পবয়সিদের ছুটে চলা কিংবা একে অন্যকে রেষারেষির ঘটনা প্রতি বছর পুজোর রাতেরই চেনা ছবি। তার ব্যতিক্রম হয়নি এ বারও। আর তার জেরেই মঙ্গলবার নবমীর রাতে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের উপর ভিআইপি রোডে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিন জনের।
পুলিশ জানায়, নবমীতে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বাইপাস থেকে ভিআইপি রোড সংযোগকারী ওই উড়ালপুলের উপরে তিন জন সওয়ারি সমেত একটি মোটরবাইক রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। বাইকচালক ইন্দ্রজিৎ তিওয়ারি উড়ালপুল থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যান। ওই সময় রাস্তায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সজল দাস নামে এক আইসক্রিম বিক্রেতা। ইন্দ্রজিৎ তাঁর উপরে গিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দু’জনেরই। বাইকের বাকি দুই আরোহীর মধ্যে দিলীপ সাহানির মৃত্যু হয়। অন্য আরোহী বিবেক গুপ্ত গুরুতর জখম হন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দশমীর দিন ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সমর সামন্ত নামে এক যুবকের।
দশমীর সন্ধ্যায় গরফা থানা এলাকায় মোটরবাইক দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে বছর ২৫-এর এক যুবকের। পুলিশ জানায়, তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। ওই রাতেই দশটা নাগাদ হেস্টিংস থানা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় আহত হন হাওড়ার বাসিন্দা অনিতনু পাল ও তাঁর স্ত্রী রমা পাল। অনিতনুবাবু হাসপাতালে ভর্তি। রমাদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নবমীর রাতে হাওড়াতেও দু’টি পৃথক দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে চার জনের। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি ছোট মালবাহী গাড়িতে ১৩-১৪ জন বেলুড় থেকে বালির দিকে যাচ্ছিলেন। লালবাবা কলেজের সামনে গাড়িটি প্রথমে একটি রিকশা ও পরে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। দেবরত হাওলাদার (২০) নামে ওই পথচারীর মৃত্যু হয়। পরে গাড়িটি রাস্তার পাশের একটি স্তম্ভে ফের ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন আরোহীরা। ওই ঘটনায় সঞ্জীব দাস (২৬) এবং গণেশ দাস (২১) নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে সাঁতরাগাছি সেতুতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক বাইকচালকের।
মৃতের নাম সুজিত সাধুখাঁ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উল্টোদিক থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ধাক্কা মারে। সেতু থেকে প্রায় ৩০ ফুট নীচে পড়ে যান সুজিতবাবু। সেতুর উপরেই ছিটকে পড়েন সুজিতের তিন সঙ্গী। হাসপাতালে সুজিতবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সটির ডান দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। |
|
|
|
|
|