|
|
|
|
আমার ঠাকুর দেখা |
চমক এবং জৌলুসে অনেক বেশি নজরকাড়া দক্ষিণের পুজোগুলো |
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় |
প্রতি বছর নানা ভাবে সারা কলকাতার ঠাকুর দেখার সুযোগ হয়েই যায়। ভালও লাগে। এ বার গিয়েছিলাম উত্তরে, ‘পার্লে আনন্দবাজার শারদ অর্ঘ্য ২০১২’-র বিচারক হয়ে।
পাঁচটা পুজো ঘোরার তালিকায় চোখ টেনেছে কাঁকুরগাছির মিতালী সঙ্ঘ। নতুন ধরনের ভাবনায় ওরা জিতেছে উত্তর কলকাতার শ্রেষ্ঠ পুজো এবং শ্রেষ্ঠ মণ্ডপের শিরোপা। তবে প্রতিমার কারিকুরিও ছিল দেখার মতো। শ্রেষ্ঠ প্রতিমার পুরস্কার অবশ্য গিয়েছে বেলেঘাটা ৩৩ নম্বর পল্লিবাসীবৃন্দের ঝুলিতে। আর গনগনে সূর্যের থিমে শ্রেষ্ঠ আলোকসজ্জার শিরোপা পেয়েছে দমদম পার্ক ভারতচক্র। পুরস্কার না জিতলেও শিকদার বাগানের পুজোটা বেশ লেগেছে। মণ্ডপে যাওয়ার পথে সরু গলিটাকে দারুণ ভাবে সাজিয়েগুছিয়ে ব্যবহার করেছে ওরা।
তবে সারা কলকাতার বিভিন্ন পুজো ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে উত্তরের পুজোগুলো ভাবনাচিন্তার নতুনত্বের নিরিখে যেন কিছুটা পিছিয়ে। তুলনায় চমক এবং জৌলুসে অনেক বেশি নজরকাড়া দক্ষিণের পুজোগুলো।
|
|
‘পার্লে আনন্দবাজার শারদ অর্ঘ্য ২০১২’-র বিচারকেরা। (বাঁ দিক থেকে) রাজ চক্রবর্তী, মিমি চক্রবর্তী,
ঊষসী চক্রবর্তী, বিজয়লক্ষ্মী চট্টোপাধ্যায়, সুকল্যাণ ভট্টাচার্য, অনীক দত্ত, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুদীপা মুখোপাধ্যায়,
সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র মিত্র, বিমল কুণ্ডু, সুচিত্রা ভট্টাচার্য এবং আবির চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
|
থিমপুজোর কলকাতা আবার টানছে |
অনীক দত্ত |
আমার ঠাকুর দেখার শুরু সেই ছোট্টবেলায় বাবা মায়ের সঙ্গে। প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে বেরোনো ক্লাস টেনে। বাড়ির শাসন থেকে ছুটি পেয়ে সে এক অন্য স্বাধীনতা। বয়স বাড়তে ঠাকুর দেখার জায়গা নিল আড্ডা-গল্পের আমেজ। তবে বছর কয়েক হল থিমপুজোর কলকাতা আবার টানছে। ‘পার্লে আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য ২০১২’র বিচারক ছিলাম দক্ষিণের পাঁচটা পুজোয়। শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেল ত্রিধারার বিশাল বুদ্ধমূর্তির থিম। বুদ্ধের জটা, ভ্রূ-তে কাঁসা-পিতলের কাজললতা, বাটির ব্যবহার অনবদ্য। মণ্ডপ, আলোকসজ্জায় শ্রেষ্ঠ চেতলা অগ্রণী নজর কেড়েছে শূন্যে ঝোলার কিছুটা অ্যাবস্ট্র্যাক্ট থিমে। শ্রেষ্ঠ না হলেও তুলনায় কম বাজেটে ট্যাংরা ঘোলপাড়ার পুজোটা দারুণ। রোজকার সামগ্রীতে সেজেছে মণ্ডপ। পিতলের প্রদীপ গড়েছে পদ্মের পাপড়ি। বোসপুকুর শীতলা মন্দিরে ভাল লেগেছে রিকশার ঘণ্টার ব্যবহার, নানা প্রদেশের লোকশিল্পের মিশেলে মূর্তি। সেলিমপুর অ্যাথলেটিক ক্লাবে করোগেটেড টিনের পাতে আলো ফেলে রাতের মণ্ডপের জৌলুসও দেখার মতো। |
|
|
|
|
|