|
|
|
|
ছুটিতে সাফাইকর্মীরা, নরক বিমানবন্দর |
সুনন্দ ঘোষ |
পুজোর সময়ে ছুটি নিয়েছিলেন বেশির ভাগ সাফাইকর্মী। কলকাতা বিমানবন্দরের দুই টার্মিনাল পরিচ্ছন্ন রাখতে তাই হিমসিম খেলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে পরিস্থিতি খানিকটা সামাল দেওয়া হয়। তা ছাড়া টার্মিনালের বাইরে শহরের দিকে যাঁরা রাস্তা পরিষ্কার রাখার কাজ করেন, তাঁদের বিমানবন্দরে ঢোকার ছাড়পত্র দিয়ে ভিতর ময়লা পরিষ্কার করানো হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রতি শিফটে মোট ২৪ জন করে সাফাইকর্মী থাকার কথা। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে দশমী, উপস্থিত ছিলেন গড়ে ৭-৮ জন। বাকিরা পুজোর ছুটি নেন। সাফাইকর্মীর অভাব ছিল প্রধানত অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে। সাধারণ দিনে যেখানে কলকাতা থেকে প্রায় ৮ হাজার যাত্রী অভ্যন্তরীণ উড়ান ধরেন, সেখানে সপ্তমীর দিন ১৩ হাজারের বেশি যাত্রী উড়ান ধরেছেন। হাতে গোনা কয়েক জন সাফাইকর্মী নিয়ে বিমানবন্দর পরিষ্কার রাখতে হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা অবশ্য অপরিষ্কার থাকার কথা মানতে চাননি। কর্মী কম এসেছেন এবং যাত্রী সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল, এই দুই তথ্য মেনে নিয়েও তিনি বলেন, “আমি বিমানবন্দরে এসে দেখেছি, অপরিষ্কার ছিল না।” উপস্থিত কর্মীদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে এবং বাইরে থেকে অস্থায়ী কর্মী জোগাড় করে টার্মিনাল পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অধিকর্তা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ষষ্ঠী থেকেই পুজোর ভিড় বাড়তে শুরু করে। সপ্তমীর দিন ১৩৮৪২ জন যাত্রী কলকাতা থেকে দেশের অভ্যন্তরের উড়ান ধরেন। কলকাতায় আসেন প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী। অষ্টমীর দিন ১১৫৮২, নবমীর দিন ৯৫৫৮ এবং দশমীর দিন ৯৯৭১ জন যাত্রী কলকাতা ছেড়ে উড়ে যান। এমনিতেই অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা কম। যাত্রীদের তুলনায় শৌচাগারের সংখ্যাও কম। তার উপরে সাফাইকর্মীদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেয়। বিমানবন্দরের এক অফিসারের কথায়, “মহিলা সাফাইকর্মীদের অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।” যে কারণে মহিলা যাত্রীরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
নবমীর দিন সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসেন ব্যবসায়ী শেখ রাজু। বলেন, “প্রায়ই যাতায়াত করি। এত নোংরা আগে পাইনি। যখন কলকাতায় নামলাম শৌচাগার তো নোংরা ছিলই, বাইরের রাস্তাতেও নোংরা পড়ে ছিল। ট্রলি, পানীয় জলেরও অভাব ছিল।” সপ্তমীর দিন দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন অশোক যাদব। তাঁরও অভিযোগ, “শৌচাগার বেশ নোংরা ছিল। ট্রলি পাওয়া যায়নি।” |
|
|
|
|
|