তাঁর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতে না চাওয়ায় তরুণীর গলায় ছুরি মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের উপরে চড়াও হলে সে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নদিয়ার কালীগঞ্জের এই ঘটনায় জখম দু’জনকেই প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জের বল্লভপাড়া গ্রামের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশের গ্রাম ভাগ্যবন্তপুরের সুদীপ দে নামে এক যুবকের। মাস দুয়েক আগে থেকে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। ওই তরুণীর বাবার অভিযোগ, “তার পর থেকেই ছেলেটি আমার মেয়েকে নানা ভাবে উত্তক্ত্য করত। পুজোর সময়ে এক সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল সে। আমার মেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে।”
পুলিশ জানায়, নবমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। কাটোয়া হাসপাতালে তিনি পুলিশকে জানান, একটি ইটভাটার কাছে তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় সুদীপ। তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। বন্ধুদের নিয়ে ওই তরুণী এগিয়ে যান। তখনই সুদীপ পিছন থেকে এসে তাঁর গলায় ছুরি চালায় বলে অভিযোগ। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নৌকায় ভাগীরথী পেরিয়ে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, এই খবর পেয়ে বল্লভপাড়ার কিছু লোকজন ভাগ্যবন্তপুর গ্রামে গিয়ে সুদীপকে মারধর করে। তার পরেই সে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর মা কালীগঞ্জ থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন। সুদীপের বাড়ির লোকজন এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। |