তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম হলেন দুই তৃণমূল নেতা-সহ মোট তিন জন। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরে ঘটনাটি ঘটে। তৃণমূল নেতা শম্ভুনাথ দাস, সত্রাজিৎ সেনগুপ্ত-সহ তিন জনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ১৭ জনের নামে বর্ধমান থানায় অভিযোগ হয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ঝন্টু চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শম্ভুনাথবাবু অভিযোগ করেন, এ দিন রাতে ঝন্টুবাবুর নেতৃত্বে কিছু লোকজন টাঙ্গি, রড, বল্লম, পাইপগান নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। সত্রাজিৎবাবু গুরুতর জখম হন। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন গৌতম দে নামে আর এক জন। সত্রাজিৎবাবুকে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত ঝন্টুবাবু বর্ধমান থানার প্রাক্তন আইসি ভবদেব চক্রবর্তীর ভাই। শম্ভুনাথবাবুর অভিযোগ, “ঝন্টুবাবুর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে বর্ধমান থানায়। তবুও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “আমরা ঝন্টুবাবুকে খুঁজছি। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, ঝন্টুবাবুকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গেলে ভবদেববাবু চিৎকার শুরু করেন। বিভিন্ন পুলিশ কর্তাদের ফোনও করানো হয় বলে অভিযোগ। এর পরে পুলিশ ফিরে আসে। যদিও বর্ধমান থানার আইসি দিলীপবাবু ও ভবদেববাবু কেউ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। তবে ঝন্টুবাবুর দাবি, “চক্রান্ত করে আমাকে সমাজবিরোধী সাজানোর চেষ্টা করছে দলের একাংশ। আমি কোথাও পালাইনি। পুলিশ জানে অভিযোগ মিথ্যা।”
বর্ধমান শহরের লোকো ত্রিপল কলোনিতে একটি রেলের আবাসনে ঢুকে এক দল দুষ্কৃতী ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। ওই আবাসনের বাসিন্দা তথা রেলের কর্মী উমাশঙ্কর হরিজন বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, স্থানীয় কিছু লোক বুধবার দুপুরে তাঁদের আবাসনে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী রেখাকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। |