|
|
|
|
হাফলং |
পুজোয় বড় পরিকল্পনা নেই, ভরসা আনন্দ, ভক্তি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
এ বার মা শক্তির পুজোর প্রধান আকর্ষণই ছিল কোচবিহারের ঢাকির দল। বায়নানামা পাকাও হয়েছিল। পরে হাফলঙে কার্ফু শুরু হতেই ঢাকির দল জানিয়ে দেন, তাঁরা হাফলঙে বাজাতে যাবেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ঢাকির দল আর আসেনি। মিসকস ক্লাবও ভেবেছিল পুজোয় টেক্কা দেবে। বড় পরিকল্পনাও নিয়েছিল বহুদিন আগে থেকে। কিন্তু অস্বাভাবিক পরিস্থি সবটাই ভেস্তে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নমো নমো করেই পুজো যে হচ্ছে, তাকেই মায়ের বড় কৃপা বলে দেখছেন উদ্যোক্তারা।
এক পক্ষকাল আগেও দুর্গাপুজো নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন বরাকের ডিমা হাসাও জেলার মানুষ। ট্রেনে গুলি, গ্রেনেড উদ্ধার, বাজারে বিস্ফোরণ, ডিমাসা-অডিমাসা সংঘাত, অনির্দিষ্টকালের বন্ধ এবং সব শেষে উত্তেজনা প্রশমনে লাগাতার কার্ফু সকলকেই হতাশ করেছে। যদিও এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কেন্দ্র-রাজ্যের সঙ্গে ডিমা হাসাওয়ের দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, কিন্তু পুজোর পরিকল্পনা ভেসে গিয়েছে। তবে মনের আনন্দে ভাটা পড়েনি। দেরিতে হলেও হাফলঙের মানুষের চোখেমুখে এখন উৎসবের আনন্দ। দেরিতে হলেও জামা-কাপড় কেনার ধুম পড়েছে পাহাড়ি জেলায়।
পুলিশের দাবি, পুজো নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই। হাফলং শহরে মোট ২২টি পুজো। সব ক’টি মণ্ডপের সামনেই তাদের পিকেট থাকবে। অন্য এলাকাতেও পুলিশের জোরদার নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। জেলাজুড়ে টহল দেবে বিএসএফ। পুজোকে ঘিরে প্রশাসন ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে দিয়ুং নদীর বদলে হাফলং লেকে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য টাউন কমিটি পুজো আয়োজকদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে মাশুল সংগ্রহ করেছে। ওই টাকায় প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন দুয়েকের মধ্যেই সাফ করা হবে লেক। আট বছর আগে এই লেকেই বিসর্জন হত প্রতিমা। পরে দূষণের কথা ভেবেই বন্ধ করা হয়। জেলা প্রশাসন এ বার আগে থেকেই প্রতিমা নির্মাণে বিপজ্জনক রং ব্যবহার না-করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে পুজো কমিটিগুলিকে। |
|
|
|
|
|