|
|
|
|
মুম্বই হামলা |
মাসুদ-হাফিজদের শাস্তি নিয়ে দ্বিধায় ইসলামাবাদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মুম্বই হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত পাকিস্তান। সম্প্রতি জারদারি সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন আইএসআই এবং পাক সেনা বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই এই বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
মুম্বই হামলা নিয়ে ওই বৈঠকে পাক রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা যথেষ্ট। এ ব্যাপারে ভারত একাধিক নথি (ডশিয়ার) দিয়েছে ইসলামাবাদকে। এদের বিরুদ্ধে মামলা যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, তাই সহযোগিতা করা যেতেই পারে। কিন্তু পাক গুপ্তচর সংস্থার ‘ফতোয়া’, কিছুতেই ভারতকে সাহায্য করা যাবে না। কারণ, অভিযুক্তরা মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত হিসেবে প্রমাণিত হলে ভারত তার পরবর্তী দাবি আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করবে। মাসুদ আজহার বা লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নয়াদিল্লি চাপ বাড়াবে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরের বিষয়টিও ফের সামনে আসবে। রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে অভিযোগ বারবার বিভিন্ন মঞ্চে উঠেছে, তা প্রাসঙ্গিকতা পেয়ে যাবে। মুম্বই সন্ত্রাসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের বিষয়টি যত প্রমাণিত হবে, ততই আন্তর্জাতিক স্তরে কোণঠাসা হবে পাকিস্তান। |
|
|
হাফিজ সইদ |
মাসুদ আজহার |
|
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট সে দেশ থেকে পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিষয়টি বিদেশ মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়কেও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, নির্বাচনের মুখে জারদারি সরকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে মরিয়া। কাশ্মীর থেকে সিয়াচেন বিভিন্ন প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখাটা জারদারি সরকারের রাজনৈতিক প্রয়োজনীয়তার মধ্যে পড়ে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ধারণা, যদি এ বছরের মধ্যে মুম্বই হামলায় যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা হলে মনমোহনের ইসলামাবাদ সফরে আসার কোনও বাধা থাকবে না।
এর আগে ভারত মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ তুললে পাকিস্তান সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে পাল্টা তুলে ধরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালাত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর সঙ্গে বৈঠকের পরেও এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। তবে পাকিস্তানের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে বরাবর উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। |
|
|
|
|
|