|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
পাঠকবলি আজও চলিতেছে |
বইপোকা |
রামের আমলে হত পাঁঠাবলি আর পাতিরামের আমলে হয় পাঠকবলি। লিখিয়াছিলেন দীপ্তেন্দ্রকুমার সান্যাল, নীলকণ্ঠ ছদ্মনামে। না, তাঁহার সেই বিখ্যাত অচলপত্র-এ নহে, সুভো ঠাকুর সম্পাদিত সুন্দরম-এ। অর্ধশতক পার হইতে চলিল, বলির পশুটির অবস্থার আর পরিবর্তন হইল না। পূজার বাজার শুরু হইবার বহু পূর্বেই এখন পূজাসংখ্যার বাজার শুরু হয়। কিন্তু মোটের উপর সেই বাজারের পণ্যগুলি একই প্রকার। উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, ফিচার ইত্যাকার শীর্ষকে রাশি রাশি শব্দ বিস্তর কাগজ খরচ করিয়া ছাপা হইয়া থাকে। সেই কথামালায় বোধোদয়ের লক্ষণ বড়ই বিরল। বোধোদয় বলিতে নূতন কোনও বোধ, নূতন কোনও ভাবনার উদয় বুঝাইতেছি। উপন্যাস, শারদীয় সংখ্যায় যাহা একদা পাঠককে নূতন এক অভিজ্ঞতার জগতে পৌঁছাইয়া দিত, তাহাতে এখন খরার কাল। বইপাড়ার প্রকাশকদের সঙ্গেও কথা বলিয়া বুঝিয়াছি, উপন্যাসে এখনও বাণিজ্যভরসা সেই পুরাতনের হৃদয়। অগত্যা বঙ্গীয় প্রকাশকের একটা বড় অংশ ঝুঁকিয়াছেন নন-ফিকশনের দিকে। কিন্তু সাম্প্রতিক পূজাসংখ্যাগুলি নাড়িয়া-ঘাঁটিয়া দেখা গেল, নন-ফিকশনও অধিকাংশত তথ্যমূলক এবং ‘কপি অ্যান্ড পেস্ট’ প্রক্রিয়ায় নির্মিত। অর্থাৎ পুরাতন গবেষণার ফসলকেই নূতন মোড়কে পরিবেশন। বিষয়ে, ভাবনায় কিংবা গদ্যে মনে রাখিবার মতো কোনও প্রবন্ধ, নিদেনপক্ষে নিবন্ধও এই বৎসর পাঠগোচর হইল না। তবে বঙ্গসাহিত্যের হাতে রহিল কী? কবিতা। সেই ক্ষেত্রে দুই-একজন উঁকি দিতেছেন বটে, কিন্তু বাংলা কবিতায় কোনও কালান্তরের সম্ভাবনা তাহাতে ঘটিতেছে না। |
|
|
|
|
|