খেলা
স্বপ্ন ছুঁতে
ব্যর্থতাএসেছে। তবুও সরে আসেননি দেবপ্রিয়া নন্দী। জেদের ফলও মেলে। অচিরে সাফল্য আসতে শুরু করে।
কোচ সুকুমার মালের উৎসাহে শটপাট, ডিসকাস ও জ্যাভলিন চর্চা শুরু। “এই ইভেন্টে সাধারণত বাঙালি মেয়েরা আসে না। তা ছাড়া থ্রো ইভেন্টস নিয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না। রাজ্য দলের প্রধান কোচ যখন বলেছেন তাঁর কথা অমান্য করি কী করে?”, বললেন দেবপ্রিয়া।
হাওড়া সারদা অ্যাথলেটিক্স সেন্টারে শুরু হল থ্রো ইভেন্টসের চর্চা। কোচ সুকুমার মাল। দেবপ্রিয়া জানান, বছর দুয়েক অনুশীলনের পরে কোচের নির্দেশে স্কুল ডিস্ট্রিক্ট মিটে নামা। প্রথম বারই শটপাটে এবং ডিসকাসে রুপো জেতা। সাফল্যে উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। ’০৭-এ স্টেট স্কুল মিটের পাশাপাশি সাব জুনিয়র ওপেন অ্যাথলেটিক্স মিটে নামে দেবপ্রিয়া। স্টেট স্কুল মিটে শটপাট, ডিসকাস থ্রোদু’টিতেই চ্যাম্পিয়ন।
ওপেন স্টেট মিটে শটপাট ও ডিসকাস থ্রো তে রুপো।
তার পরে স্টেট ওপেন মিটে সাব জুনিয়রে ২০০৮-১০ টানা চ্যাম্পিয়ন। ’১১ এবং ’১২ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। ’১০ এবং ’১১ ইস্ট জোন মিটে চ্যাম্পিয়ন। বাবা শ্যামাপ্রসাদ নন্দী বলেন, “এই সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব ওঁর কোচ সুকুমার মালের।” ছ’মাস আগে সুকুমারবাবু মারা গিয়েছেন। সেন্টারের এখন কোচ কালীপদ ভৌমিকের কাছে অনুশীলন করছেন দেবপ্রিয়া।
মা মনোমিতা নন্দী বলেন, “ব্যাগ তৈরি করে সংসার চলে। ওকে সাধ্য মতো সাহায্য করি। তবে কোচিং সেন্টার থেকে নানা সাহায্য না পেলে এতটা পথ এগতে পারত না।” কোচ কালীপদ ভৌমিকের কথায়: “সামান্য উন্নতি করতে পারলেই আন্তর্জাতিক পদক আনতে পারবে।”
রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রী দেবপ্রিয়ার আদর্শ কৃষ্ণা পুনিয়া। লন্ডন অলিম্পিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী কৃষ্ণার সঙ্গে দেখাও হয়েছে। তবে রাজ্য ও জাতীয় স্তর থেকে সে ভাবে সাহায্য আসেনি। ক্ষুব্ধ দেবপ্রিয়ার কথায়: “অন্য রাজ্যে স্টেট মিটে এক বার চ্যাম্পিয়ন হলেই স্টাইপেন্ড পাওয়া যায়। এখানে মেলে না। তাই অনেকে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।”

বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল
‘শুন্দিকা সঙ্গীতালয়ের’ বার্ষিক অনুষ্ঠান। সম্প্রতি হাওড়া শরৎ সদন (২)-এ। অনুষ্ঠানে যন্ত্র ও কণ্ঠ সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছাত্রছাত্রীরা।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.