এ বারের পুজোতেও আঁধার কাটছে না সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার শ্রমিক মহল্লায়।
কারখানা বন্ধ। শ্রমিকেরা পুজোর মুখে তাঁদের বকেয়ার অন্তত কিছুটা পাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিশেষ কিছুই জোটেনি। পুজো উপলক্ষে শুধু ২০১১-র সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনটুকু পেলেন কারখানার কর্মীরা। ২০১১-র অক্টোবরেই বন্ধ হয়ে যায় কারখানা। নিজেদের দুরবস্থার জন্য শ্রমিকেরা কখনও দুষছেন কারখানা কর্তৃপক্ষকে, কখনও রাজ্য সরকারকে। বলছেন, “কেউ কথা রাখেনি।”
গত বারের পুজোতেও কারখানা খোলা ছিল। অবশ্য পাওনা নিয়ে সমস্যা ছিল তখনও। কিন্তু কারখানা খোলা থাকায়, শ্রমিকদের আশা ছিল পরে হয়তো বকেয়া মিলবে। কিন্তু তা আর হয়নি। অক্টোবর মাসে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যে পালাবদলের পরে একাধিক মন্ত্রী তাল ঠুকেছিলেন ডানলপ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে রাজ্য সরকারের একাধিক বৈঠক শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলা হয়। |
সুদিনের অপেক্ষায় থেকে কারখানার প্রায় ১৪০০ শ্রমিক এখন ক্লান্ত। গত কয়েক মাসে মারা গিয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের পরিবারের লোকজনও টাকা পাননি। কর্মীরা চান, বকেয়ার জন্য রাজ্য সরকার অন্তত কিছু একটা করুক। ডানলপের ‘হোস’ বিভাগে কর্মী রামেশ্বর সিংহের ক্ষোভ, “আমার পাওনা অন্তত ৩ লক্ষ টাকা। কারখানা আর খোলার অবস্থায় নেই। কত মন্ত্রী এসে ভাল ভাল কথা বললেন। কিন্তু শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য উদ্যোগী হলেন কই?” ওই বিভাগেরই কর্মী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আশায় ছিলাম পুজোর আগে বকেয়াটা পাব। রাজ্য সরকার কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে। কোথায় কী?”
মহল্লার সর্বত্র এমন হতাশার সুর শোনা যাচ্ছে একটু ঘুরলেই। কারখানার সিটু-র সম্পাদক বিতান চৌধুরীর অভিযোগ, “রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে।”
শ্রমিকদের ক্ষোভ স্বাভাবিক বলে মেনে নেন হুগলি জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত। তিনি বলেন, “শ্রমিকদের তো বটেই, রাজ্য সরকার নিজস্ব বকেয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে হলফনামা পেশ করছে।”
আজ ষষ্ঠী। মায়ের বোধন। কিন্তু ডানলপের শ্রমিকদের মন ভাল নেই। পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারের
ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশন) ধ্রুবজ্যোতি নন্দী বলেন, “আমরা
কারখানা খুলতেই চেয়েছিলাম। ধাপে ধাপে শ্রমিকদের নেওয়া হত। কিন্তু রাজ্য সরকার চায়, সব শ্রমিকদের এক সঙ্গে নেওয়া হোক। কিন্তু তা
সম্ভব নয়। তার ফলেই
এই পরিস্থিতি।”
কী বলছে রাজ্য সরকার?
শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “ডানলপের বিষয়টি এখন আদালতের বিবেচনাধীন। তবে বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা যে সরকারি অনুদান পান ডানলপের
শ্রমিকেরা তা শীঘ্রই পাবেন। রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে।”
কিন্তু সেই অনুদান কবে মিলবে?
মেলেনি উত্তর।
|
শ্বশুরবাড়ি গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল জামাইয়ের। শুক্রবার, হাওড়ার জাপানি গেটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মুন্না শেখ (৩৫)। বাড়ি কলকাতার মেহেন্দি বাগানে। এ দিন হাওড়া-আমতা রেললাইনের পাশ থেকে ওই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। |