|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
মহাষষ্ঠী
পরিচালনা: সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
মহাতারকারা কী করছেন আজ সকাল আর বাকি তিনটে দিন? ৩৬১ দিন নিজেদেরই আরাধনায় ব্যস্ত থাকেন যাঁরা,
আপাতত তাঁরাই যেন পাড়া আর বাড়িতে সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্য। যাঁদের থিম ‘তারে জমিন পর’। লিখছেন নিবেদিতা দে |
“ডোনা ষষ্ঠীর সকালে বম্বে যাচ্ছে। অভিজিতের পুজোয় নাচের প্রোগ্রাম আছে...আমি কলকাতাতেই ...কোনও চাপ নেই...কাজ নেই, কমেন্ট্রি নেই... একেবারে ফ্রি বার্ড।” বললেন সৌরভ। “...পাঞ্জাবি-চুড়িদার চাপিয়ে পুরোপুরি এনজয় মোডে চলে যাব ষষ্ঠীর সকাল থেকে... বন্ধুবান্ধব আসবে, একেবারে জমে যাবে,” আড্ডার মেজাজে সৌরভ।
এক বন্ধু দুষ্টুমি করে বললেন, “এ বার পুজোয় সৌরভের জন্য কোনও ক্লোজ-ইন ফিল্ডার নেই!” “ও মা! আমিও তো ষষ্ঠীর সকালে বম্বে যাচ্ছি, ফ্লাইটে দেখা হয়ে যেতে পারে ডোনার সঙ্গে,” বললেন ঋতুপর্ণা।
মুম্বইয়ের ‘কথা’ গ্রুপের ডি এন নগরের পুজোয় যাচ্ছেন তিনি। সেখানকার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর বলে কথা। যেখানে আবার অঞ্জলি দিতে প্রায় প্রতি বছরই আসেন অমিতাভ বচ্চন-জয়া-অভিষেক-ঐশ্বর্যার মতো মহাতারকারা!
এ বছর কি মেয়েকে সঙ্গে নিয়েও আসবেন ঐশ্বর্যা? ঋতুপর্ণা আশাবাদী, ‘‘হয়তো আসবেন।”
এ ভাবেই বাগবাজারের ‘বসুবাটি’তে জমে উঠল আড্ডা। পত্রিকার ফটোশ্যুটের অছিলায় এ যেন প্রাক্-পুজো ‘গেট-টুগেদার’।
‘আজ’ যত তারা সব ‘মাটিতে’...
‘আজ’ মানে কেবল আজই নয়, পুজোর চার দিনই তারকারা যেন আর তারকা নন। এমনিতেই ‘হোম অ্যালোন’-এর শিশুটির মতোই ওঁরা সারা বছর পরিবার-‘বিচ্ছিন্ন’ জীব হয়ে থাকেন নিজেদের আরাধনায় মেতে। কিন্তু যে-ই ঢাকের তালে এসে পড়ে পুজো, তক্ষনই পাল্টে যায় চিত্র। এই মানুষগুলোই তখন কত আলাদা, অন্য রকম। পরিবারের সমবায় সমিতির সদস্য হয়ে ওঁরা নেমে আসেন ‘মাটিতে’। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মহাতারকারও যেমন আজ থেকে বাড়ির রান্না বলে কিছু নেই। পাড়ার প্যান্ডেলে রাত তিনটের রোলও চলবে, তার পর না হয় একটু ডাবের জল। আর ঢাক বাজানো তো মাস্ট। শুধু নাচবেন কি না ঠিক নেই। গত বারের মতো মুড হলে নাচবেন।
সৃজিত পরিচালিত পত্রিকার এই ফটোশ্যুট যেন পুজোরই রঙিন প্রোমো! প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর পর্ব। আর তা ঘটে গেল এমন সাবলীল স্বচ্ছতায় যে ‘সিনেমার মধ্যে আরেক সিনেমা-দৃশ্য তৈরি হয়ে গেল আপনা-আপনিই। শেষ দৃশ্য? শ্যুটিং হয়ে গেল এমনকী ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ-এর ‘পান নিয়ে মান ভাঙানো’র বিরল ছবিও (চারের পাতায় পড়ুন)। আজ্ঞে হ্যাঁ, কোনও ভূমিকা ছাড়াই। |
|
পুজোর ‘চ্যালেঞ্জ’...
ভেসে এল স্বস্তিকা-দেব-ঋতুপর্ণার আড্ডা
“কী করছ পুজোয়?” দেবকে জিজ্ঞেস করলেন স্বস্তিকা। দেব ঝটিতি, “আরে পঞ্চমীতে ‘চ্যালেঞ্জ টু’ রিলিজ করছে তো, টেনশনে আছি। দুগ্গা দুগ্গা করে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটাব। আর হ্যাঁ, অষ্টমীতে অঞ্জলি দেব বস্। ওই একটা দিন অঞ্জলি দিয়ে পাপমুক্ত হব আশা করি।” খাওয়াদাওয়া? “বাড়িতে মাকে বলব ভাল ভাল ডিশ বানাও। ষষ্ঠীতে চিংড়িমাছের মালাইকারি খাব।”
স্বস্তিকা: আমিও তাই। পঞ্চমী পর্যন্ত দরকার হলে না-খেয়ে থাকব। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে কোনও ডায়েট নয়। ষষ্ঠীতে পার্পল মুভি টাউনে শ্যুটিং আছে একটু। ব্যস, তার পর থেকেই ফাঁকা। সকাল সকাল উঠতে হবে না। রাতের আড্ডায় ভাল করে হোয়াইট ওয়াইন খাব, ... বালিগঞ্জ কালচারালে অষ্টমীর অঞ্জলি দেব, মেয়েকে নিয়ে ঘুরব, ভোগ খাব।”
দেব: ভাবছি পুজোয় তো বাড়িতেই থাকব... সপ্তমীর বিকেলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস আর রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলাটাও দেখে নেব...
বেরোবেন না?
“এক বার বেরিয়েছিলাম, গাড়ি প্রায় ভেঙে যাচ্ছিল চাপে।”
জানা গেল ভিড়ের জন্যই বেহালা ছেড়ে সৌরভ যেতে পারেন না ম্যাডক্স স্কোয়্যার বা অন্য কোনও পুজোয়। বরং সুযোগ পেলেই বসে পড়েন ‘বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নার’-এর প্যান্ডেলে। সবার সঙ্গে ‘হা-হা-হি-হি’ দেখলে কে বলবে তিনি সৌরভ!
|
|
বাঙালির দুই মহাতারা |
‘মহা আড্ডা’য় ‘মহারাজ’
কথায় কথায় জানা গেল, ...ষষ্ঠীতে মায়ের সঙ্গে সানা মুম্বই যাবে না, থাকবে বাবার কাছেই। সপ্তমীতেই কলকাতা ফিরছেন ডোনা। তার পর মুড অনুযায়ী হয় ক্যালকাটা ক্লাব, নয় কোনও ভাল রেস্তোরাঁয় খাওয়া... যেমন হয় কলকাতায় থাকলে।
তবে হ্যাঁ, “...মঙ্গলবার বোধহয় নবমী পড়ছে তাই না? ওই দিনটা আমরা নিরামিষ খাই। বাড়িতে মা মঙ্গলচণ্ডী আছেন। ভোগ খাব ওই দিন...এ ছাড়া পাড়ায় অঞ্জলিও দেব,” বললেন সৌরভ।
সে বার যেমন আপনি পাঞ্জাবির ছদ্মবেশে ভাসানে চলে গিয়েছিলেন, আর হবে?
“ওটা ছিল হুজুগে খেয়াল, এখন আমি সরাসরিই যাই। যাবও।”
....ছবি তোলা চলছেই এর মাঝে।
খেলা খেলা সারা বেলা...
আর ‘বসুবাটি’র গেটের বাইরে তখন উন্মুখ জনতা। কী সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে? ভিড় থেকে উঠে আসছে একটাই জিজ্ঞাস্য।
কে বোঝাবে, সিনেমা-টিনেমা কিচ্ছু নয়, জাস্ট একটা ‘গেট টুগেদার’ চলছে বাড়ির ভেতরের প্রশস্ত ঠাকুর দালানে। অনেকটা পিকনিকের মতো।
ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চের মাঝের সময়টুকু পিকনিকে যেমন ‘ডাম শ্যারার্ড’, ‘অন্ত্যাক্ষরী’ কিংবা ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র মতো মেমারি গেম হয়, ঠিক তেমন করেই হচ্ছে ‘ফটোশ্যুট’।
ব্রেকফাস্টে কচুরি... ফ্রুট জুস...
শ্যুটিংয়ের আগে হল ব্রেকফাস্ট। স্বস্তিকার যেন হঠাৎই মনে পড়ল, “ও হ্যাঁ, ‘মাছ-মিষ্টি-মোর’-এর প্রমোশনও করব পুজোয়... ছবির নামেও খাওয়া-দাওয়া...আমার নো-ডায়েট-এর সঙ্গে একেবারে মিলে যাবে, বুঝতেই পারছ। পরিক্রমাও আছে...”
ঋতুপর্ণা ফিরে তাকিয়ে বললেন, “আমিও ‘তিনকন্যা’র প্রমোশনে থাকব। আর এ বছর ‘মুক্তধারা’র রিলিজ আছে মুম্বইতে।” কিন্তু তুমি কি পুরো পুজোই ওখানে থাকছ?
ঋতুপর্ণা: না না অষ্টমীতে ফিরে আসছি। ফিরেই যাব পুরনো পাড়া রাজা বসন্ত রায় রোডের পুজো সুহৃদ সঙ্ঘে। ওখানকারও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর আমি। তা ছাড়া রবিনসন স্ট্রিটের কাঞ্চনজঙ্ঘা অ্যাপার্টমেন্টে বাবা-মায়ের বাড়ির আবাসনের পুজোতেও যাব। বাবার স্মৃতি... প্রত্যেক বছরই যাই।
স্বস্তিকা বললেন, “আমি সিঁদুর খেলতে যাব দুর্গাবাড়িতে।”
ঋতুপর্ণা: আমিও সিঁদুর খেলব। আর
অগ্নিদেব-সুদীপার বাড়ির পুজোয় যাব নবমীতে। ‘দেবীপক্ষে’ ‘কহানি’
আচ্ছা দুর্গাপুজোয় সিঁদুরখেলা বললেই এখন বিদ্যা বালানের ‘কহানি’ ছবিটার কথা মনে পড়ে যায়, তাই না? পুজো ঘিরে আর কোনও ছবি মনে পড়ে?
প্রসেনজিৎ: হ্যাঁ, মনে পড়ে। ‘উৎসব’...
আর ‘পরমা’, কিংবা হিন্দি ‘দেবদাস’, ‘পরিণীতা’?
সৃজিত ধরিয়ে দিলেন, “কেন অনুসন্ধান?”
|
*** |
ঋতুপর্ণার ছবি ‘দেবীপক্ষ’-র সঙ্গেও কোথায় যেন ‘কহানি’র থিম-গল্পটা মিলে যায়। যে ভাবে কুচক্রী প্রোমোটরকে শেষ দৃশ্যে মেরেছিলেন ঋতুপর্ণা! সত্যিই বিদ্যা বালানের ‘কহানি’র চরিত্রটা ঋতুপর্ণা করলে কেমন হত?
আলোচনার সঙ্গে তাল রেখেই যেন দেব বললেন, “আচ্ছা আমি সৌরভদা আর বুম্বাদা ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’ করলে কেমন হয়?
কে কোন চরিত্রটা করতেন তা হলে?
“সৌরভদা অমর, আমি আকবর, আর বুম্বাদা অ্যান্টনি। আমি সবার ছোট তো, ‘পর্দা হ্যায় পর্দা’ গেয়েই বেরিয়ে যেতাম।”
|
*** |
...‘বসুবাটি’র থামের সামনে সত্যিই আলো হয়ে জ্বলে উঠলেন তিন মহাতারকা। সৌরভ-প্রসেনজিৎ-দেব। এই প্রথম ফটোশ্যুটে তাঁরা একসঙ্গে। ঠিক তার আগে, সাজগোজ, টুকিটাকি মেকআপ যতটুকু হওয়ার হয়ে গেছে। মেকআপ আর্টিস্টরা তাও খুঁতখুঁতে... একটু পর পরই পজ বাট্ন টিপছে।
যেমন আছে তেমনই থাকুক...
...আচ্ছা, স্টাইলিং-এর জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঞ্জাবি ঠিক আছে, কিন্তু চুলটা একটু এখনকার সচিন তেন্ডুলকরের মতো স্ট্রেট করে নিলে হয় না?
ফিসফিস করে কথাটা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে করতে সৌরভের কাছে হাসি হাসি মুখে দাঁড়ালেন মেকআপ আর্টিস্ট। “যা মেকআপ মুখে কর বাবা, চুলে দরকার নেই।”
সত্যিই চুলে কোনও স্টাইল পছন্দ করেন না ‘দাদা’?
“এখনও তো মাথায় চুল আছে, ভবিষ্যতে কমলে স্টাইল নিয়ে ভাবব।”
চায়ের কাপে হাল্কা চুমুক।
|
*** |
শুধু পত্রিকার জন্য |
|
|
|
|
পান দিয়ে মান ভাঙানো... |
|
ক্যামেরা...অ্যাকশন...
‘ছবি’ পরিচালনা করছেন সৃজিত। কোথায় একটা মোবাইল বেজে উঠল। সিনেমা পরিচালনার ঢঙে সৃজিত দুম করে বলে বসলেন, “মোবাইল বন্ধ!”
কিন্তু কেন? এ তো ফিল্ম নয়!
বরং তার বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রসেনজিৎ বললেন, “সৃজিত এই রকম মুডে একটু মিউজিক-টিউজিক থাকলে ভাল লাগে...সিনেমা করেছ, ফটোশ্যুট তো এই প্রথম...মিউজিক থাকলে মুডটা জমে,” ধুতি-পাঞ্জাবিতে অনেকটা বড় দাদার ঢঙে কথাগুলো বললেন সৃজিতের বুম্বাদা।
ব্যস্ত সৃজিত নিজে কী করছেন পুজোয়?
সিগারেটে টান দিলেন সৃজিত, “ষষ্ঠীতে একটা পুজো পরিক্রমা আছে, বাকি সারা পুজোয় আলসেমি করব। সকালবেলা সাদা লুচি আর আলুর তরকারি হলে দারুণ।”
প্রেম করবেন না?
“দূর! একটা সময়ে পুজোর দিনগুলোয় কত প্রেম হয়েছে, কত হার্ট ব্রেক হয়েছে। এখন আর নয়। প্রেমিকাই নেই কোনও।”
...হাসতে হাসতে হাঁটা লাগালেন সৃজিত। অন্যের চোখের দিকে না তাকিয়ে।
যাক্, গালে টোল ফেলে স্বস্তিকা অনেকটা ‘কদলীবালা’ স্টাইলে বললেন, “আমি তো নবমীতে একটা পরিক্রমায় যাব। সিকিওরিটি, কনভয় থাকবে। ঠাকুরটা আরামে দেখা হয়ে যাবে...আর এ বছর মেয়েও থাকছে।”
মেয়ের জন্য কী কিনলেন পুজোয়? “সে বার লন্ডন যাওয়ার সময় পাওলি একটা লাল ট্রাউজার্স পরেছিল। মেয়ের খুব পছন্দ। কিনে দিয়েছি। আরও কয়েকটা জিন্স আর ড্রেসও কিনেছি।”
আর নিজের জন্য?
হাসতে হাসতে বললেন, “শাড়ি টাড়ি তো ঠিক আছে, কিন্তু সব চেয়ে সমস্যা হল ব্লাউজ। কিছুতেই ফিট করতে চায় না। পুজোর সময় টেলরের সঙ্গে এই নিয়েই যত্ত ঝামেলা।” ‘বসুবাটি’র প্রকাণ্ড থামের আড়ালে মিলিয়ে গেলেন স্বস্তিকা।
|
|
|
|
পুজোয় আলসেমি আর
সাদা লুচি, তরকারি—সৃজিত |
নবমীতে ভোগ খাবেন সৌরভ,
অষ্টমীতে —ঋতুপর্ণা... |
ইচ্ছেমতো হোয়াইট
ওয়ান খাব —স্বস্তিকা |
|
‘বসুবাটি’তে ‘তারে জমিন পর’...
বাড়িটার নিজেরই একটা স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব আছে, তার উপর এমন ফটোশ্যুটে গমগম করছিল ঐতিহাসিক বাগবাজারের ‘বসুবাটি’। সৌরভ, দেব, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা, স্বস্তিকা, সৃজিততারকা সমাবেশ। ‘তারে জমিন পর’ও বলা যায়।
গল্পে গল্পেই সৃজিত বলছিলেন, এই বাড়ি ঘিরে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের যোগসূত্রের কথা...শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ...রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর...কার না পায়ের ধুলো পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই বাড়িতেই সম্মিলিত হয়েছিলেন রাখি-বন্ধন উৎসবে।
আর এখানেই শ্যুট করা হয়েছিল ‘২২শে শ্রাবণ’এর ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য। তবে বাড়ির অবস্থা এখন খুবই জীর্ণ। হেরিটেজ আখ্যা পেলেও, বাড়িটির চরিত্র অক্ষত রেখে গড়ে তোলা হবে এক বুটিক হোটেল, যা করছেন হর্ষবর্ধন নেওটিয়াজানালেন এই বাড়িরই বউ সেই দিনের নায়িকা, পরিচালক দীনেন গুপ্তের মেয়ে সোনালি বসু (গুপ্ত)। ‘দেবী চৌধুরানি’, ‘বসন্ত বিলাপ’-এর পরিচালক ছিলেন দীনেন গুপ্ত। মনে পড়ে?
কিছুক্ষণ আগেই প্রসেনজিৎ বলছিলেন, “বাদুড় আছে দোতলায়। আর ডেঙ্গির মশাও।” ‘২২শে শ্রাবণ’-এর অভিজ্ঞতা। প্রবীর রায় চৌধুরীর সঙ্গে কেউ তর্ক করল না।
লং ড্রাইভ...
আচ্ছা পুজোর সময় ভিড় থেকে পালিয়ে এমন কোনও বুটিক হোটেলে ছুটি কাটাতে চান? কিংবা নিদেনপক্ষে যেতে চান কোনও লং ড্রাইভে?
আশ্চর্য, তারকারা সত্যিই যেন ‘মাটিতে’। সকলেই এক বাক্যে মেনে নিলেন পুজোর সময় কলকাতা ছেড়ে কোত্থাও যেতে ইচ্ছে করে না।
দেব, “এখানেই থাকছি। কে যাবে বাবা!”
সৌরভ বললেন, “পুজো ছেড়ে আমি কোনও ‘ড্রাইভেই’ বিশ্বাসী নই।”
|
ড্রেসিং রুম |
পরিচালনা |
সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
বিশেষ কৃতজ্ঞতা |
হর্ষবর্ধন নেওটিয়া |
ফোটোগ্রাফার |
দেবাশিস মিত্র |
সহকারী ফোটোগ্রাফার |
কৌশিক সরকার |
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল |
সুভাষ বেরা |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পোশাক |
স্নেহাশিস ভট্টাচার্য (দার্জি) |
দেবের পোশাক |
অভিষেক দত্ত |
দেবের মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল |
সোমনাথ |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-এর মেকআপ |
রাম রজ্জক |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, দেব, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্টাইলিং |
অজপা মুখোপাধ্যায় |
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পোশাক |
রাধিকা সিংহি |
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মেকআপ -স্টাইলিং-হেয়ার স্টাইল |
রজত-কৌশিক |
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জুয়েলারি |
সাক্ষী |
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেকআপ |
নবীন দাস |
স্বস্তিকার মুখোপাধ্যায়ের জুয়েলারি |
অঞ্জলি জুয়েলার্স |
সহায়তা |
পিয়া সেনগুপ্ত |
হসপিটালিটি পার্টনার |
স্পেশালিটি রেস্টুরেন্টস লিমিটেড |
বিশেষ সহায়তা |
প্রিয়দর্শিনী রক্ষিত ও নীতেশ শর্মা |
পরিকল্পনা |
গৌতম ভট্টাচার্য |
রূপায়ণ ও বিন্যাস |
ইন্দ্রনীল রায় |
সংযোগসুত্র ও জোগাড়যন্ত্র |
সংযুক্তা বসু ও অরিজিৎ চক্রবর্তী |
ডিজাইনার |
শমিত চন্দ |
|
|
রূপকথারা... রা... রা...
‘মুক্তধারা’... রা... রা...
ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ পাশাপাশি বসে শট দিচ্ছেন অথচ গাছের পাশ দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন কোনও গান ভেসে আসছে না, যেন ভাবাই যায় না!
অথচ এ যে ফটোশ্যুট, সংলাপ নেই। কেবলই এক্সপ্রেশন, কেবলই ভঙ্গি। শুধুই অনুভূতি বিনিময়! নিঃশব্দ বাক্যালাপ!
বলে না, ‘রিলেশনশিপ ইজ নাথিং বাট আ লং লং কনভারসেশন...’, সম্পর্ক একটা বিরাট বড় কথোপকথন ছাড়া আর কিছুই নয়।
সে কথোপকথন হতে পারে ভাষায়, হতে পারে নৈঃশব্দ্যে, নৈকট্যে, দূরত্বে, দেখায়, অদেখায়, প্রেমে, অপ্রেমে, অভিমানে, রাগে, ঈর্ষায়... যাবতীয় অনুভূতিতে।
কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবলেশহীন? হতে পারে কোনও দিন?
জুটির রহস্য-রসায়ন দাবি করে এমনই ফর্মুলা। তা সে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎই হোন, উত্তম-সুচিত্রাই হোন, রেখা-অমিতাভই হোন, রিচার্ড বার্টন-এলিজাবেথ টেলরই হোন, কী রাজ কপূর-নার্গিস। |
২০০৮ |
২০০৯ |
|
|
পাশাপাশি এসেছেন ওঁরা একমাত্র ‘পত্রিকা’র শেষ দু’বারের ফটোশ্যুটে। |
|
সম্পর্কের আসল নির্যাসই রহস্যময়তা।
বাক্যালাপ নেই, সে রকম সম্পর্কও নেই, ছবিও করছেন না আর একসঙ্গে, তবুও কীসের যেন আকর্ষণ!
সত্যি সত্যি জানতে ইচ্ছে করে, সরাসরি কথা না বললে কি বাক্যালাপ হয় না? একসঙ্গে সিনেমা না করলে কি কোনও ‘ছবি’ তৈরি হয় না মানসপটে?
জানি দুটো সমান্তরাল রেখা মেলে না কখনও। জানি দুটো পাশাপাশি স্তম্ভ বড় কিছুকে ধরে রাখলেও কাছাকাছি আসে না কখনও। তবুও জুটির কাছে মানুষ অন্য কিছু দাবি করে। যেমন আশা করে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার কাছেও!
কারণ, এক জন ‘মনের মানুষ’, তো অন্য জন ‘মুক্তধারা’, এক জনের জীবনে ‘অনুরণন’, তো অন্য জনের ‘অপরাজিতা তুমি’, এক জন ‘চারুলতা’-য়, অন্য জন, ‘অটোগ্রাফ’-এ।
দু’জনেই সফল। স্বতন্ত্র। জুটি।
তবু মুক্ত! |
*** |
না, একসঙ্গে ছবি করতে পারছেন না কেউই এঁদের নিয়ে। পারছেন না নির্দিষ্ট কিছু সংলাপে আবদ্ধ করতে।
ব্যতিক্রম, ‘পত্রিকা’র ফটোশ্যুট। নানা সময়ে পাশাপাশি এসেছেন এঁরা। নিজস্ব ‘সংলাপে’। ‘হারানো সুর’-এ বারবার বেজে উঠেছেন নানা ভাবে, নানা সুরে, নানা সময়ে। এ বারও যেমন। ঋতুপর্ণাকে ফটোশ্যুটে অভিনন্দন জানালেন প্রসেনজিৎ, ‘মুক্তধারা’র জন্য। ঋতুপর্ণা বললেন, “থ্যাঙ্ক ইউ”। এই ‘হারানো সুর’ পাকাপাকি জোড়া লাগবে না? কে বলতে পারে? হয়তো পরের বছরের মধ্যে? নাকি নয়? নাকি আসছে বছর আবার হবে!
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|