|
|
|
|
ঘোষণা বিদেশসচিবের |
শিক্ষানবিশ চর নেবে ব্রিটেন
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
|
দরকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ ডিঙোনোর। এমনকী প্রয়োজন নেই প্রথাগত ডিগ্রিরও। সে সব কিছুর আগেই হয়ে যেতে পারে গুপ্তচরবৃত্তির হাতেখড়ি। অন্তত সে রকমটাই আশা করছেন ব্রিটেনবাসীর একাংশ।
রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়েই জেমস বন্ড তৈরির স্কুল খোলার কথা বলেছে ক্যামেরনের দেশ। বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের বিদেশসচিব উইলিয়াম হেগ ঘোষণা করেছেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়োগ করা হবে শিক্ষানবিশ ‘স্পাই’। নিয়োগকর্তা? এমআইফাইভ, এমআইসিক্সের মতো গোয়েন্দা-সংস্থা। বিদেশসচিব মনে করেন, রণক্ষেত্র বা সাইবার-দুনিয়া, সব জায়গাতেই তরুণ মগজাস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার। তাই তড়িঘড়ি এদের গুপ্তচর বাহিনীতে সামিল করতে চাইছেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ এ হেন পরিকল্পনা? আর গুপ্তচর নিয়োগের মতো বিষয়টি এত ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণাই বা করা কেন? দ্বিতীয়টির উত্তর পরিষ্কার না হলেও প্রথমটির ব্যাপারে বেশ অকপট ছিলেন উইলিয়াম।
কী রকম? আসলে উইলিয়াম বিশ্বাস করেন, সাইবারসন্ত্রাস বা সাইবারযুদ্ধের মতো একবিংশ শতকের নতুন ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রয়োজন যুব ‘মগজাস্ত্রেরই’। তাঁর স্বীকারোক্তি, “দেশকে ভবিষ্যৎ হামলার থেকে সুরক্ষিত রাখতে দরকার এই যুব-মস্তিষ্কের।” শুনে অনেকেই বলছেন, এ আবার নতুন কী কথা?
উইলিয়ামের অবশ্য ধারণা, নতুনত্ব আছেই। ইতিহাসে যে যৌবনকে দেখা যেত যুদ্ধের ময়দানে নামতে, এ বারও তারা লড়বেন। তবে মহাজালের দুনিয়ায়। নিজেদের উন্নততর প্রযুক্তির জ্ঞান আর তুখোড় বুদ্ধির রসদ নিয়ে তারা আটকাবেন যাবতীয় সাইবার-আক্রমণ। প্রয়োজন বলতে ওটুকুই।
উইলিয়াম জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন শিক্ষানবিশ-স্পাই নেওয়া হবে। যোগ্যতা বলতে থাকতে হবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্ঞান। বিদেশ দফতর সূত্রে খবর, মূলত ১৮ বছরোর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই দ্বার খুলবে এই গুপ্তচর সংস্থাগুলির।
এই প্রজন্মই ছোটবেলায় রুপোলি পর্দায় দেখেছে ‘স্পাই-কিড’দের। হয়তো তাদেরও মন চেয়েছে স্রেফ বুদ্ধির জোরে শত্রুকে মাৎ করতে। সেই স্বপ্ন হয়তো পূরণ হয়ে যাবে যৌবনেই। পড়শি মোটা ফ্রেমের চশমাওলা ‘কম্পিউটার ফ্রিক’ ছেলেটির জেমস বন্ড হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। |
|
|
|
|
|