আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট |
উৎসবের মুখে ঘরে ঢুকে মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে কুলটি থানার সীতারামপুর এলাকায়। খবর পেয়েও পুলিশ দেরিতে এসেছে, এই অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সীতারামপুর বিদায়গড় এলাকায় অরুণ সাউয়ের বাড়িতে দশ-বারো জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। লিখিত অভিযোগে অরুণবাবু পুলিশকে জানান, তখন বাড়িতে তিনি, তাঁর স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা ছিলেন। প্রায় ছ’জন দুষ্কৃতী দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। বাকিরা বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিল। দুষ্কৃতীরা বাড়ির সদস্যদের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে আলমারির পাল্লা ভেঙে যথেচ্ছ লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। লুঠপাট চালিয়ে চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরেও তাঁরা প্রাণভয়ে কোনও শব্দ করেননি বলে জানান অরুণবাবুরা। ভোররাতে তাঁরা বাড়ির থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। ভোরের আলো ফোটার পরেই এই লুঠপাটের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়। খবর পাঠানো হয় নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়ামতপুর, সীতারামপুর এলাকায় প্রায় প্রতি দিনই চুরি ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে সত্য তা এ দিনের ঘটনা ফের প্রমাণ হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অরুণবাবু এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা জানান, দুষ্কৃতীরা সবাই কুড়ি-বাইশ বছরের যুবক। তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
|
প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম সুবীর মজুমদার। বাড়ি চিত্তরঞ্জন থানার আমলাদোহি বাজার এলাকায়। সুবীরের প্রতিবেশী, চিত্তরঞ্জন কলেজের এক ছাত্রী চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, সুবীরের সঙ্গে তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি নেটে ছড়ানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পাঁচ বছর আগে ওই যুবকের সঙ্গে অভিযোগকারিণীর সম্পর্ক ছিল। পরে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
|
সাঁইবাড়ি হত্যা নিয়ে কমিশনে সাক্ষ্য স্থগিত |
সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের নতুন সরকারের গড়া কমিশনের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রজত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দু’জন মামলা করে বলেন, ঘটনার ৪০ বছর পরে এই কমিশনের প্রয়োজন নেই। এর আগেও একটি কমিশন গড়া হয়েছিল। সরকারের তরফে বলা হয়, এই মামলার যুক্তি নেই। আদালত এটা খারিজ করে দিক। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত শুক্রবার মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তিনি জানান, মামলা শেষের আগে কমিশন সাক্ষ্য নিতে পারবে না। পুজোর ছুটির পরে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে রাজ্যকে।
|
ওসি-র বেতন কেটে ক্ষতিপূরণ |