হাসপাতাল চেয়ে পোস্টার মণ্ডপে |
মিছিল অথবা বিক্ষোভ নয়। পুজোর আনন্দে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবিতে জনমত গড়ে তুলতে অভিনব আন্দোলনে নামছে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাস মালিকদের সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুই সংগঠনের কর্তারা সভা করে ওই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের ২২টি বড় বাজেটের মন্ডপ সহ সংলগ্ন এলাকায় ‘হাসপাতাল তৈরির জন্য অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে’ লেখা একাধিক পোস্টার লাগানোর জন্য পুজোর উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। অনুরোধে সম্মতি পেয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের চাঁদা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে দুটি সংগঠন। ব্যবসায়ী ও বাস মালিকদের উদ্যোগে খুশি রাজনৈতিক দল-সহ পুজো উদ্যোক্তারা। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, “উত্তরবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দাদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার কথা ভেবে হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ করা উচিত। পুজোর চার দিন জেলার কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীদের বিষয়টি জানাতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “পুজোর চার দিন হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের দাবিতে আন্দোলনে নেমে বাসিন্দাদের আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না। কিন্তু হাতগুটিয়ে বসেও থাকতে পারছি না। তাই প্রচারের অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” ২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার রায়গঞ্জে ৮২৩ কোটি টাকা খরচ করে ১০০ একর জমিতে ৯৬০ শয্যার এইমসের ধাঁচের একটি হাসপাতাল তৈরির অনুমতি দেয়। হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকারকে বিনামূল্যে জমি দিতে হবে বলে জানানো হয়। সেইমতো জেলা প্রশাসন রায়গঞ্জের পানিশালায় ১২৫ একর জমি চিহ্নিত করে। ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জমি ঘুরে দেখেন। ২০১১-র ২২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি পাঠিয়ে হাসপাতাল তৈরির জন্য রায়গঞ্জে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন। বিধানসভা ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে যায়। শাস্ত্রী সংঘ পুজো কমিটির সম্পাদক মনোজ প্রধান বলেন, “হাসপাতাল তৈরির স্বার্থে জমি অধিগ্রহণের দাবিতে ব্যবসায়ী ও বাস মালিক সংগঠনের পোস্টার ও ফ্লেক্স মন্ডপে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |