নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
এক দেবীপক্ষে স্ত্রীকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছিলেন কার্শিয়াঙের শ্রমিক প্রীতম তামাং। ১১ বছর পরে সেই দেবীপক্ষেই তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মধূসুদন দত্ত ওই আদেশ দেন। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক পণের জন্য বধূমৃত্যু এবং তাঁদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা বেড়ে চলার প্রসঙ্গ টেনে উদ্বেগ প্রকাশ বলেছেন, “পণের জন্য বধূ মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। ইদানীং বধূকে পুড়িয়ে মারার প্রবণতাও বেড়ে চলেছে। যা কি না মেয়েদের মধ্যে বিবাহিত জীবনের অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক ও উদ্বেগজনক। তাই সব দিক ভেবেই দোষীর লঘু শাস্তির আর্জি খারিজ করে কঠোর শাস্তি দিতে হল।” আদালত সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্তের নাম প্রীতেম তামাং। তাঁর বাড়ি কার্শিয়াং থানার লং ভিউ চা বাগান এলাকার গৈরিগাঁওয়ে। নিহত বধূর নাম মমতা খাওয়াশ (৩০)। ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর, মহাসপ্তমীর দিন সকাল ১০টা নাগাদ ঘরদোর পরিষ্কার করছিলেন প্রীতেম। সেই সময়ে তিনি মমতাকে মদ আনার জন্য বলেন। কিন্তু, মমতা তা আনতে রাজি হননি। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রীতেম মমতার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সময়ে কিছুটা অগ্নিদগ্ধ হন প্রীতেমও। হইচই শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে দুজনকে কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে ১ নভেম্বর মৃত্যু হয় মমতার। ওই সময়ে প্রীতেম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ওই মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন বিনোদ অগ্রবাল। বিনোদবাবু বলেন, “এ ধরনের নৃশংস ঘটনায় এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই দরকার। এতে সমাজে ওই ধরনের অপরাধের প্রবণতা কমবে।” |