জঙ্গিপুরের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে নলহাটিতে নতুন উদ্যমে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। বীরভূমের এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে তারা। গত বছর বিধানসভা ভোটেও নলহাটিতে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন এবং তিনি পেয়েছিলেন ১৫ হাজারের বেশি ভোট। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক সমীকরণ এবং জঙ্গিপুরের ফলাফলের প্রেক্ষিতে নলহাটিতে বিজেপি-র উপস্থিতি আলাদা তাৎপর্যের দাবি রাখে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
রাষ্ট্রপতি-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নলহাটির কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। জঙ্গিপুর থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার বিধায়ক-পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। নলহাটিতে এর পরে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। ঘটনাচক্রে, এ দিনই মেদিনীপুরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ নলহাটিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রাহুলবাবুর কথায়, “জঙ্গিপুরে ৭২% মুসলিম ভোট রয়েছে। সেখানে আমরা ১০% ভোট পেয়েছি। এর ফলে সকলেই অশনি সঙ্কেত দেখতে শুরু করেছে!” তবে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, বিজেপি-র কতটা রাজনৈতিক উত্থান এ রাজ্যে সাম্প্রতিক কালে ঘটেছে, তার প্রকৃত নমুনা নলহাটিতেই পাওয়া যাবে। কারণ, জঙ্গিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ছিল না। তাদের ভোটের বড় অংশ বিজেপি-তে গিয়েছিল কংগ্রেসেরও একাংশের ধারণা। নলহাটিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দু’দলেরই প্রার্থী থাকবে। সেখানে বিজেপি-র নিজস্ব ভোট কত হয়, সে দিকে নজর থাকবে সব দলের। আবার তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি তিন পক্ষের ভোট কাটাকাটিতে বাম প্রার্থীর (১৯৭৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর নলহাটি ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে) সুবিধা হয়ে যায় কি না, তা-ও কৌতূহলের কেন্দ্রে।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর প্রথম মেদিনীপুর সফরে এ দিন শহরের এক সভাগৃহে রাহুলবাবুকে সংবর্ধনা দেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে রাহুলবাবু বলেন, তৃণমূলের জনসমর্থনে ধস নামছে বলেই পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনতে চাইছে রাজ্য। |