কাল ষষ্ঠী। মায়ের বোধন। বিভিন্ন মণ্ডপে জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। অথচ, এখনও ক্যানিং শহরের বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কার হল না। উৎসবের দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
ক্যানিং মহকুমায় মোট ১৩৮টি দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে ক্যানিং শহরে রয়েছে কয়েকটি বড় বাজেটের পুজো। যা দেখতে প্রতি বছরই ভিড় উপচে পড়ে। মহকুমাশাসকের দফতর থেকে জয়দেব পল্লি রাইসমিল ঘাট পর্যন্ত শহরের মূল রাস্তাটি ধরেই চলে দর্শনার্থীদের স্রোত। এই রাস্তার দু’ধারেই বড় বাজেটের পুজোগুলি হয়। মহকুমাশাসকের দফতর ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পাশে রয়েছে একাধিক স্কুল, বিদ্যুৎ দফতর, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দফতর-সহ বেশ কিছু সরকারি ভবন। অথচ, বর্ষায় এই রাস্তার বহু জায়গারই পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে বড় বড় গর্ত। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও লেগে রয়েছে। মূল রাস্তারই যেখানে এই অবস্থা, সেখানে আশপাশের রাস্তার হাল কহতব্য নয়। বাসন্তী বা গোসাবাতেও বেহাল বহু রাস্তা।
খারাপ রাস্তার কারণে ক্যানিং শহরের কয়েকটি পুজো কমিটি এ বার প্রথমে পুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানিয়েছে। তাদের মধ্যে জয়দেব পল্লি সর্বজনীনের কর্মকর্তা বুলু মণ্ডল বা গাঁধী কলোনি সর্বজনীনের কর্মকর্তা শম্ভু সাহা বলেন, “রাস্তার জন্য মানুষের সমস্যা হতে পারে ভেবে ঠিক করেছিলাম এ বার পুজো বন্ধ রাখব। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ঠিক করেছিলাম, পুজোর বাজেটের টাকা দিয়ে রাস্তা মেরামত করব। শুধুমাত্র এলাকার মানুষের অনুরোধে এ বার পুজো করছি।”
বেহাল রাস্তার কথা অবশ্য মেনে নিয়েছে প্রশাসন। মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, “সংশ্লিষ্ট দফতরকে রাস্তা সারানোর কথা বলা হয়েছে।” পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্ষার কারণে রাস্তা সারানোর কাজ শুরু করা যায়নি। পুজোর জন্য আপাতত ইট দিয়ে গর্তগুলি বুজিয়ে দেওয়া হবে। |