জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা সামশেরগঞ্জ থানায় বুধবার রাতে ভাঙচুর করে। ভাঙচুর হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। রাত দেড়টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ যাঁকে আটক করেছিল, তিনি ধুলিয়ানের একটি হাইস্কুলের শিক্ষক। বাসুদেবপুরের গ্রামবাসীরা যে মদ বিরোধী আন্দোলন গড়েছেন, সেই নাগরিক কমিটির অন্যতম কর্তা ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে তাঁকে সামশেরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হলে এলাকার লোকজন ধৃতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানায় এসে হাঙ্গামা শুরু করে দেন। রাত ১১টা নাগাদ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “আটক ব্যক্তির নামে একাধিক মামলা আছে। জেরার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু এ নিয়ে মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে লোকজন থানায় চড়াও হয়। ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ৩ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে। এ দিনের হামলা নিয়ে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে।” বাসুদেবপুর ও চাচন্ড এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি মদের দোকান থেকে পাইকারি হারে মদ নিয়ে গিয়ে আশপাশের ঠেকে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বেআইনি ঠেক বন্ধ করতে হবে পুলিশকে। এর জন্য অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ থাকলে প্রশাসনকে জানালে অবশ্যই প্রশাসন তার ব্যবস্থা নেবে। নিজের হাতে আইন তুলে নিলে তা রুখতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মদের বেআইনি ভাটি ভেঙে দিতে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। আইনের পথেই পুলিশ তাদের শাস্তি দেবে।” |