বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের বাজারপাড়া শাখা থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা লুঠ করে মোটরবাইকে চেপে চম্পট দিল একদল সশস্ত্র ডাকাত। বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাগীরথী নদীর পশ্চিমপাড়ের উত্তরপাড়া-মোড়ে একটি ভাড়াবাড়ির দোতলায় রয়েছে ওই ব্যাঙ্কের বাজারপাড়া শাখা কার্যালয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই ব্যাঙ্কের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই চড়াও হয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনা যুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।”
ব্যাঙ্কের মুর্শিদাবাদের রিজিওনাল ম্যানেজার নিখিলেশ মিত্র বলেন, “এ দিন সকালে ব্যাঙ্কের দরজা খুলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার-সহ কর্মীরা সবে ভিতরে ঢুকেছেন। তাঁদের সঙ্গে তিন জন আমানতকারীও ব্যাঙ্কে ঢুকেছেন এমন সময় তিন জন দুষ্কৃতীর মধ্যে এক জন সিঁড়ির মুখে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। বাকি দু’জন ব্যাঙ্কের ঘরের ভিতরে ঢুকে ম্যানেজার ও অন্য কর্মীদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। ওই ঘরেই আমানতকারীদেরও দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়ে মাথায় পিস্তল ধরে থাকে। ব্যাঙ্কের কর্মী ও আমানতকারীদের মোবাইল ফোনের ব্যাটারি খুলে নেয় ডাকাতরা। তার পর ম্যানেজারের কাছ থেকে নিয়ে চাবি নিয়ে ভল্ট খুলে তারা ১৪ লক্ষ ৭ হাজার ৬৬০ টাকা ডাকাতি করে।”
ব্যাঙ্কের বাজারপাড়া শাখার ম্যানেজার তাপস সরকার বলেন, “ভল্টের দু’টি চাবির মধ্যে একটি আমার কাছে থাকে ও অন্যটি থাকে ক্যাসিয়ারের কাছে। দু’টি চাবি ছাড়া ভল্ট খোলা যায় না। ফলে আমার কাছে থেকে চাবি নিয়ে ভল্ট খুলতে না পারায় ডাকাতরা রেগে যায়। তখন ক্যাসিয়ারের কাছে থাকা চাবিটিও ডাকাতদের দেওয়া হয়। ভল্ট খুলে তারা টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজায় শিকল তুলে দিয়ে আমাদের ঘরবন্দি করে রাখে।” দুষ্কৃতীরা চলে যেতেই ঘরবন্দি কর্মীরা ব্যাঙ্কের সাইরেন বাজিয়ে দেয়। সাইরেন শুনে একতলা থেকে লোকজন দোতলায় ব্যাঙ্কের ঘরে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার তাপসবাবু ৩ জন ডাকাতের কথা বললেও স্থানীয় লোকজনের মতে ডাকাতরা ছিল সংখ্যায় ৬ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “ব্যাঙ্কের নীচে একতলায় সিঁড়ির মুখে তিন যুবক তিনটি মোটরবাইক স্টার্ট দেওয়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। ডাকাতি করে তিন জন দোতলা থেকে নেমে তাতে করেই পালায়। |