|
|
|
|
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ড |
খোঁজ মিলল পলাতক সিপিএম নেতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও এক ‘পলাতক’ সিপিএম নেতার খোঁজ পেল পুলিশ। হীরালাল ভুঁইয়া নামে ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা হয়নি। মেদিনীপুর শহরের কর্নেলগোলায় এক আত্মীয় বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরে কেশপুর জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। এক সময় জোনাল সম্পাদকও ছিলেন। এ বারের সম্মেলনে তাঁকে জোনাল কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। অসুস্থতার জন্যই তাঁকে আর কমিটিতে রাখা হয়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। বুধবার এক সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, কর্নেলগোলায় আত্মীয়বাড়িতে রয়েছেন বছর সত্তরের হীরালালবাবু। তিনি এখনও অসুস্থ। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে নজরবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, “এক সূত্রের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশ শহরের এক বাড়িতে গিয়েছিল। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”
দাসেরবাঁধ মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডির তদন্তকারী অফিসার পূর্ণশিব মুখোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কাছে কোনও খবর নেই। বিষয়টি পুলিশ দেখতে পারে।” তবে পুলিশেরই এক সূত্রে খবর, হীরালালবাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেশপুরের মহিষদাতে বাড়ি হীরালালবাবু। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে মোট ৪০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী-সমর্থকের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে হীরালালবাবুর নাম ছিল না। তবে যে ৫৮ জনের নামে সিআইডি চার্জশিট দিয়েছে তাতে তাঁর নাম আছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তার মধ্যে গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৪ জন জামিনে রয়েছেন। মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অভিজিৎ সোমের এজলাসে মামলাটির বিচার চলছে। মামলার পরবর্তী দিন রয়েছে আগামী ২১ নভেম্বর। |
|
|
|
|
|