|
|
|
|
|
বন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে আজ রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
হলদিয়া বন্দরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ নিয়ে কী করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ এবং হলদিয়া টাউন থানার ওসি-কে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
হলদিয়া বন্দরে তাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ২ ও ৮ নম্বর বার্থের দায়িত্বে থাকা সংস্থা এবিজি। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তারা বলেছে, পুলিশের কাছে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। সেই কারণে তাদের কাজ বন্ধের নোটিস দিতে বাধ্য হয়েছে। এবিজি-র তরফে আইনজীবী সমরাদিত্য পাল এ দিন আদালতে বলেন, আবেদনকারী সংস্থা বন্দরে কাজ করতে পারছে না। তাদের কর্মীদের বন্দরের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না। উল্লেখ্য, ১৯ তারিখের মধ্যে কাজ শুরু না করলে ওই দু’টি বার্থে মাল খালাসের দায়িত্ব অন্য সংস্থাকে দিয়ে এবিজি-কে বন্দর ছাড়ার নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এবিজি-র অভিযোগের জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা যুক্তি দেন, বন্দরের মধ্যে রাজ্য পুলিশের কিছু করার নেই। সেখানে সিআইএসএফ রয়েছে। সব দায়িত্ব তাদের। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে জানানো হয়, বন্দরের মালপত্রের নিরাপত্তা দেওয়াই সিআইএসএফের কাজ। তারা এফআইআর দায়ের করতে পারে না। কাউকে গ্রেফতারও করতে পারে না।
বিচারপতি দত্ত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান, বন্দরের ভিতরে কেউ খুন হলে তা কে দেখবে? রাজ্য সরকার যুক্তি দেয়, বন্দর এলাকার বাইরে সমস্যা হলে অবশ্যই পুলিশ দেখবে। কিন্তু বিচারপতি বলেন, যে কোনও জায়গায় আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিলে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পরেই জেলার পুলিশ-প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চান তিনি। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী শুনানি হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি অবশ্য এ দিন দাবি করেন, “বন্দরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকই আছে। যাঁরা কাজে যোগ দিতে চেয়েছেন, পেরেছেন। তার পরও কেউ আমাদের কাছে এলে অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।”
অন্য দিকে, এবিজি-র সিইও গুরপ্রীত মালহি এ দিন বলেন, তাঁদের কর্মীরা হলদিয়া বন্দরে যে কোনও দিন কাজ শুরু করতে রাজি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী বার বার তাদের বাধা দিচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের মধ্যস্থতাতেই তাঁরা হলদিয়া বন্দরে থেকে গিয়েছিলেন। তাই এখন হাইকোর্টেরই শরণাপন্ন হচ্ছেন। |
|
|
|
|
|