|
|
|
|
পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এল না কংগ্রেস শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
প্রত্যাশিত ভাবেই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধানের ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দিলেন না কংগ্রেস-শিবিরের কাউন্সিলররা। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর পুরসভায় বোর্ড মিটিং ডেকেছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তৃণমূলের তুষার চৌধুরী। সিপিআইয়ের ৩ জন কাউন্সিলর অবশ্য এসেছিলেন। সিপিএম কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা অনিতবরণ মণ্ডল পারিবারিক কাজে শহরের বাইরে থাকায় আসেননি। কংগ্রেসের ১৪ জন, বিজেপির ১ জন ও ১ নির্দল মিলিয়ে মোট ১৬ জন কাউন্সিলর এই বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দেননি। এই ১৬ জন কাউন্সিলরই ১১ অক্টোবর পুরসভার সভাকক্ষে এক মিটিং করে কংগ্রেসের রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে পরবর্তী পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন বলে কংগ্রেস-শিবিরের দাবি।
কেন এলেন না কংগ্রেস-শিবিরের কাউন্সিলররা? রবিশঙ্করবাবু বলেন, “মিটিংটাই তো অবৈধ। নতুন পুরপ্রধান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। পুর-আইন মেনে আগেই ৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড মিটিং ডেকেছিলেন। সেই মিটিংয়ে আমাকে পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।” তাঁর কথায়, “বৃহস্পতিবারের মিটিংটি বন্ধ রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারপরও মিটিং হয়েছে।” দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধানের অবশ্য দাবি, “এ দিনের মিটিং বৈধ। উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৮ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্য সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯৩৭ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগে কখনও এত টাকা বরাদ্দ করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, পুর-দফতরের এক নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল কংগ্রেস। হাইকোর্ট পুর-দফতরের ওই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছিল, পুরপ্রধান নন, পরবর্তী পুরপ্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার কাজ চালিয়ে যাবেন উপপুরপ্রধান। সেই মতো ১ অক্টোবর পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, নিয়মানুযায়ী পরের ৭ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য বোর্ড মিটিং ডাকার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধানের। তবে তা হয়নি। তাই পুর-আইন মেনেই কংগ্রেস-শিবিরের ৩ জন কাউন্সিলর নিজেরা বোর্ড মিটিং ডাকেন। সেখানে ১৬ জন কাউন্সিলরই পুরপ্রধান হিসেবে রবিশঙ্কর পাণ্ডেকে নির্বাচিত করেছেন বলে কংগ্রেস-শিবিরের দাবি। |
|
|
|
|
|