|
|
|
|
কংগ্রেস-বিজেপি থেকে সমদূরত্ব চান সোরেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ইউপিএ সরকারের আর্থিক সংস্কার নীতির বিরোধিতা তো থাকছেই। একই সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড সরকারের শরিক হয়েও, রাজ্য প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টির পথে নামছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। আগামী লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটে, রীতিমতো অঙ্ক কষেই জেএমএম এই পথ বেছে নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যের রাজনীতির তথ্যাভিজ্ঞরা।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান স্থির করতে সম্প্রতি জেএমএমের কোর কমিটি আলোচনায় বসেছিল। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে জেএমএম প্রধান শিবু সোরেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউপিএ সরকার আর্থিক সংস্কারের নামে যে সব পদক্ষেপ করেছে, তা তাঁরা মেনে নেবেন না। পেনশন, বিমা এবং খুচরো ব্যবসায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সর্বাত্মক বিরোধিতা করবে জেএমএম। জেএমএম-এর মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন: “কোর কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এলে জেএমএম সরকারের মনমোহন সরকারের বিরুদ্ধেই ভোট দেবে।” উল্লেখ্য, লোকসভায় জেএমএমের দুই এবং রাজ্যসভায় একজন সাংসদ রয়েছেন।
এরই পাশাপাশি, দলের ভোট ব্যাঙ্ক বিস্তৃত করতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন, ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির কৌশলও নিয়েছে জেএমএম। শিবু সোরেনের উপস্থিতিতে কোর কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকিতে রান্নার গ্যাসের গ্রাহককে বছরে ছ’টি সিলিন্ডার সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ওই ঘোষণায় বিপাকে পড়বেন গ্রাহকরা। জেএমএম-এর দাবি: গৃহস্থের এই সমস্যা সমাধানে ঝাড়খণ্ড সরকার এগিয়ে আসুক। রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহকদের কাছে বছরে আরও কমপক্ষে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করার ব্যবস্থা করুক। জেএমএমের মুখপাত্র সুপ্রিয় ভটাচার্য জানিয়েছেন, দলীয় মন্ত্রীদের বিষয়টি রাজ্য মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সোরেন।
আগামী লোকসভা ভোটের দিকে চোখ রেখে এখন থেকেই ঘর গোছানোর কাজে নেমে পড়েছে জেএমএম। দলের কোর কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে কোনও দলের সঙ্গেই নির্বাচনী আঁতাতে যাবে না জেএমএম। রাজ্যে লোকসভার ১৪ টি আসনেই তারা একা লড়বে। রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা আসনে এখন থেকেই বুথভিত্তিক কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|