|
|
|
|
গয়ায় হত ৬ জওয়ান |
বিস্ফোরণে উড়ল মাইন-নিরোধক গাড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
মাওবাদীদের পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল নিরাপত্ত বাহিনীর মাইন-নিরোধক গাড়ি। মৃত্যু হয়েছে ছয় জওয়ানের।
বিস্ফোরণের পরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে সিআরপিএফের এক ডেপুটি কম্যাডান্ট-সহ গুরুতর জখম ন’জনকে পটনার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, যৌথ বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিন জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের কোনও মৃতদেহ যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ জানিয়েছে আজ সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে গয়া জেলা থেকে ৮৭ কিলোমিটার দূরে, ডুমারিয়ার চক্রবান্দা জঙ্গলের শেওরা-বারহা রাস্তায়। সিআরপিএফের জওয়ানরা চক্রাবান্দার জঙ্গলে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে বেরিয়েছিল। মাইন-নিরোধক গাড়িটির পিছনে ছিল আরও কয়েকটি গাড়ি। মাইন নিরোধক হওয়ায় ওই গাড়িটি প্রথমে জঙ্গলের রাস্তায় ঢোকে। তাতে ছিল সিআরপিএফের ১০ জওয়ান। তারাচুয়ার কাছে আসার পরেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণটি ঘটে। উড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই জওয়ানের। জখম হয় বাকি আট জন। আহতদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে গয়ায় নিয়ে আসার পথে মারা যায় আরও চার জওয়ান। বাকি ৬ জনকে হেলিকপ্টারে করে গয়া থেকে পটনায় আনা হয়। সেই সময় মারা যায় আরও এক জওয়ান। মাইনটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূর থেকে আওয়াজ শোনা গিয়েছে। মাইন-নিরোধক গাড়ি থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে জওয়ানদের মৃত্যু ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মগধ রেঞ্জের ডিআইজি এন এইচ খান বলেন, “বিস্ফোরকটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এর তীব্রতা এতটাই ছিল যে মাইন-নিরোধক গাড়িটিও তা ঠেকাতে পারেনি।”
এই ঘটনার পরে সিআরপিএফের ডিআইজি উমেশ কুমারের নেতৃত্বে ওই অভিযান আরও জোরদার করা হয়। আজ দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান চলে। অভিযানের জন্য রোহতাস এবং ঔরঙ্গাবাদ থেকে তিন কোম্পানি কোবরা বাহিনী এবং তিন কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দিয়ে জঙ্গলের চারিদিক ঘিরে অভিযান চালানো হয়।
দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে জওয়ানরা জখম হলেও এখনও মাওবাদীদের মৃত্যুর খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, তিন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গলের ভিতরে থাকায় তাদের দেহ এখনও পুলিশ হাতে পায়নি। সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতরা হলেন: এসআই রামজি রাম, গাড়ির চালক লালবাবু, কনস্টেবল বিক্রমাদিত্য যাদব, অশোক নিরালা, রাজ সিংহ ও হনুমন্ত সিংহ গুর্জর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআরপিএফের আইজি এম কে সিংহ (অপারেশন)। তিনি বলেন, “ওই গাড়িতে ১০ জওয়ান ছিলেন। বিস্ফোরণে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে গুলিতে জখম হয়েছেন বি কে সিংহ-সহ চার জন।”
মাওবাদীদের কাছে কী এই অভিযানের আগাম খবর ছিল? আইজি বলেন, “তা বলতে পারব না। তবে আগে থেকেই ওই শক্তিশালী বিস্ফোরকটি ওরা পুঁতে রেখেছিল। সেটা আগাম খবরের ভিত্তিতে কী না তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|