খানাখন্দে ভরা রাস্তার ধুলো মেখে এ বার জলদাপাড়ায় পুজো কাটবে পর্যটকদের। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দফতরে দৌড়ঝাপ করেও মেরামতের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় ওই সমস্যা রয়ে গেল। পরিস্থিতি দেখে পর্যটন ব্যবসায় জড়িতদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। চিন্তা ভিড় হবে না এটা ভেবে নয়। ভাঙাচোরা রাস্তার ঝাক্কি সামলে কাহিল পর্যটকদের কটু কথা সামাল দেওয়ার। ডুয়ার্সের একটিও রিসর্ট ফাঁকা নেই। অনেক পর্যটক চলে এসেছেন। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। তবু হাসি নেই রিসর্ট মালিক ও কর্মীদের মুখে। থাকবে কেমন করে! তাঁরা জানান, পর্যটকরা পৌঁছতে শুরু হয়েছে রাস্তা নিয়ে কটু কথা। অস্বস্তিকর প্রশ্ন। কেমন করে ওই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ, পর্যটকরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেও তাঁদের কেউ একই আচরণ করতে পারছেন না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দেখালে পর্যটকদের কেউ তা মানছেন না। উল্টে প্রশ্ন করছেন, এতটা খারাপ অস্থা জেনেও কেন আমাদের আসতে বললেন! জলদাপাড়া হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক স্বপন রায় বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য এ বার যে কত কথা শুনতে হবে জানি না। কেমন করে পর্যটকদের শান্ত রাখা যাবে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।” রিসর্ট কর্তাদের আশঙ্কা, ভাঙাচোরা রাস্তার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাওয়ার পরে আর ওই পর্যটকরা জলদাপাড়ায় আসতে রাজি হবেন না। তাই ভয় দেখা দিয়েছে আগামী বছরের ব্যবসাকে ঘিরে। শুধু জলদাপাড়া নয়। বক্সা, জয়ন্তী থেকে কোচবিহারে যাতায়াতের রাস্তারও একই হাল। বিস্তীর্ণ এলাকায় পিচের চাদর নেই। ধুলোর ঝড় বইছে রাতদিন। ওই পরিস্থিতি দেখে কে চাইবেন ঘুরে বেড়াতে! বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে, পর্যটন মরশুমের কথা ভেবে দ্রুত রাস্তা মেরামতের জন্য কয়েকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে লাভ হয়নি। উল্টে রাস্তা আরও খারাপ হয়েছে। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রাজ্যের মুখ্য বাস্তুকার বিবেক রাহা বলেন, “তিনটি রাস্তার কাজ ভাইফোঁটার পরে শুরু হবে। চাঁদার জুলুমের জন্য পুজোর আগে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করতে রাজি হয়নি। তাই কিছু সমস্যা হয়েছে।” বেহাল রাস্তার সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “ডুয়ার্সের রাস্তার হাল কতটা খারাপ সেটা আমি নিজে ভাল জানি। সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছি।” |