মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে বেমালুম উল্টে গেল পাশাটা।
মার্কিন মুলুকে স্যামসাং-এর বিরুদ্ধে ‘পেটেন্ট’ সংক্রান্ত মামলা জিতেছিল অ্যাপল। ইউরোপে কিন্তু শেষ হাসিটা ফুটল স্যামসাং-এর মুখেই। ফলে প্রযুক্তি দুনিয়ার জবরদস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে স্যামসাঙের যে গ্যালাক্সি ট্যাবলেট-কে আমেরিকার বাজার থেকে পাট গুটোতে হয়েছিল, ইউরোপে তারই ব্যবসা করার পথ হল নিষ্কণ্টক।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের আপিল আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সংস্থা দু’টির পণ্যের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে মিল আছে ঠিকই। তবে স্যামসাঙের গ্যালাক্সি ট্যাবলেট কখনওই অ্যাপলের আই-প্যাড-এর নকশা বেআইনি ভাবে নকল করেনি। তা ছাড়া এর ফলে ক্রেতা কখনওই দু’টিকে গুলিয়ে ফেলবেন না। অ্যাপলকে তাদের ওয়েবসাইটে ও নির্দিষ্ট খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এ দিনের রায় সারা ইউরোপেই বলবৎ হবে। মেধাসম্পদ আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে এ বার অন্তত ইউরোপীয় মুলুকে দুই প্রযুক্তি সংস্থার আইনি লড়াইয়ে দাঁড়ি পড়তে চলেছে। |
বস্তুত, এর আগে সে দেশের হাইকোর্ট এই রায়ই শুনিয়েছিল। যার বিরুদ্ধেই আপিল আদালতে যায় মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল। এখানেও হারার পর, নীতিগত ভাবে এ বার দক্ষিণ কোরীয় স্যামসাংকে তারা সুপ্রিম কোর্টেও টেনে নিয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাপল-এর তরফে এখনও তেমন কোনও পরিকল্পনার ইঙ্গিত না-পাওয়ার কারণেই ইউরোপে এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার আশা করছে সকলে।
অ্যাপল অবশ্য আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। আর রায়কে স্বাগত জানিয়ে স্যামসাং কর্তৃপক্ষের দাবি, “এখনও বিশ্বাস করি ট্যাবলেটের আয়তক্ষেত্র আকারবিশিষ্ট, গোলাকৃতি কোণের এই নকশা অ্যাপলই প্রথম বার করেনি।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকেই গুগলের অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি ও তা ব্যবহারকারী পণ্যগুলির বিরুদ্ধে এই পেটেন্ট-যুদ্ধ চালাচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল। তারই অঙ্গ হিসেবে স্যামসাঙের স্মার্টফোনের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে আই-ফোন এবং আই-প্যাডের বহু বৈশিষ্ট্য নকল করার অভিযোগ আনে তারা। পরে এই ‘যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় গোটা বিশ্বে। |