ছোটদের আর চিন্তা কী? ডিজনিল্যান্ড হাজির বর্ধমানে!
সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে বর্ধমান শহরের কেশবগঞ্জচটির পুজোর থিম এ বার ডিজনিল্যান্ড। দুর্গা এখানে বার্বি ডল। ছোটা ভিম ধারাবাহিকের ছুটকি এখানে লক্ষ্মীর জায়গায়, কার্তিকের ভূমিকায় স্বয়ং ছোটা ভিম। সরস্বতী হচ্ছেন ছোটা ভীম কার্টুন সিরিজের রাজকুমারী। অসুরের ভুমিকায় ‘কালিয়া’ আর গণেশের চেহারা ‘বাল গণেশ’ ধারাবাহিকের গণেশের মতো। তাঁর বাহন ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খ্যাত জেরি। পুজো কমিটির থিম মেকার আর্ট কলেজের ছাত্র জীবেশ বর্মনের কথায়, “বাস্তবের মাটিতে কার্টুন-কল্পলোকের প্রতিষ্ঠা করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। |
শিশুদের কথা কে ভাবে পুজোর দিনগুলিতে? সব মণ্ডপই তো বড়দের জন্য। তাই আমরা এই মণ্ডপে এমন কিছু রাখছি যাতে শিশুরা আনন্দ পায়।” মণ্ডপ জুড়ে থাকছে ছোটা ভিমের নানা দুষ্টুমির চিত্র। রয়েছে স্পাইডারম্যানেরও উপস্থিতিও। বর্ধমান আর্ট কলেজের ছাত্রেরা দীর্ঘ দু’মাস ধরে ৪০০০টি শোলার টুকরো ও বিভিন্ন ‘ওয়েদার কোট’ রং ব্যবহার করে তাঁরা ফুটিয়ে তুলছেন নানা দৃশ্য। পুজো কমিটির সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ হাটি বলেন, “প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আদিবাসীদের নাচ। সঙ্গে চন্দননগরের আলো।”
বর্ধমানের জিটি রোড সংলগ্ন পদ্মশ্রী সঙ্ঘের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে তারাপীঠের আদলে। চতুর্থীর দিন তারাপীঠ থেকেই পুরোহিত ডাকিয়ে ধূমধাম করে কালীপুজো করাবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন দাস বললেন, “আমরা তারাপীঠের ন’টি মন্দির তুলে ধরেছি। তাতে কালীও রয়েছেন। মূর্তি থাকবে কিন্তু পুজো হবে না, তা কী হয়! তাছাড়া কালী তো দুর্গারই এক রূপ। তাহলে অন্যয়টা কোথায়?” পুজো কমিটির দাবি, বর্ধমানের অনেক প্রবীণ শারীরিক অসুস্থতার কারণে তারাপীঠে যেতে পারেন না। তাঁদের তারাপীঠ দর্শন হয়ে যাবে এখানেই!
বর্ধমানের কমলাকান্ত কালীবাড়ি মহল্লায় এ বারের আকর্ষণ জমিদার বাড়ির পুজো। তাদের পুজো এ বার ৫০ বছরে পা দিল। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় জানান, জমিদারবাড়ির বর্ণাঢ়্য পুজো, নহবত, ঝাড়বাতির রোশনাই, মশালের উল্লাস এই মণ্ডপে তুলে ধরছি আমরা। নীলপুরের সমীর মালো প্লাই আর থার্মোকল দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন নানা নকশা। |