বেআইনি মদ বিক্রি রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে ঘটনাটি ঘটে। আক্রান্ত চার পুলিশকর্মী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বৃহস্পতিবারও এক সিভিক পুলিশকর্মী ভর্তি ছিলেন। গণ্ডগোলের পরেই রাতভর তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, আরও এক জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই রঘুনাথপুরে একটি ক্লাবের সামনে বেআইনি মদের কারবার চলছে। অশান্তিও লেগে আছে। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ দুর্গাপুর থানা থেকে পুলিশ গেলে তিন জন হাতেনাতে ধরা পড়ে। কিন্তু তাদের গাড়িতে তোলার পরেই স্থানীয় ক্লাব থেকে বেশ কয়েক জন বেরিয়ে এসে পুলিশের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মার খান সাব-ইনস্পেক্টর রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, তিন জন কনস্টেবল এবং এক সিভিক পুলিশকর্মী। খবর পেয়ে বড় বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ভর্তি করায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডল, সুরজিৎ দাস, ছোটন বাউড়ি, বিশ্বজিৎ নায়ক, বিশ্বজিৎ বাউড়ি, নরোত্তম দত্ত ও সাধন সিংহকে গ্রেফতার করা হয়।
এডিসিপি (পূর্ব) বলেন, “দেবাশিস মণ্ডল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” ক্লাবের সভাপতি লক্ষ্মী মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। লক্ষ্মীবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, পুলিশ আসল অভিযুক্তদের না ধরে নিরীহ বাসিন্দাদের ধরতে এসেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ‘স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিবাদ’ করেছেন। সুনীলবাবু জানান, পুজো এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদের কারবার বাড়ছে। মঙ্গলবার নিউ টাউনশিপ থানা এলাকাতেও জাতীয় সড়কের ধারে বিভিন্ন ধাবায় অভিযান চালিয়ে বিনা লাইসেন্সে মদ বিক্রির অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। কাগজপত্র না থাকায় ৫০ লিটার মদ বাজেয়াপ্ত হয়। |