মহিষাদল রাজ কলেজ টিএমসিপি-র
কলেজ চত্বরেই প্রহৃত এসএফআই
লেজ ভোটে গণনার সময় এসএফআই-এর ছয় সদস্যকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। বুধবার ছিল হলদিয়া মহকুমার মহিষাদল রাজ কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচন। বিকেলে ফল ঘোষণার মাঝপথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেধে যায়। ইটের আঘাতে জখম এসএফআইয়ের ৬ সদস্যকে এলাকার বাসুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রসংসদ অবশ্য তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। ৪২টির মধ্যে মাত্র ৪টি আসনে জিতেছে এসএফআই।
এই কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছিল প্রথম থেকেই। ছাত্রসংসদের ৪২টি আসনের প্রতিটিতেই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে ৪টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় এসএফআই। এ দিন ৩৮টি আসনে টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের লড়াই হয়। বেলা আড়াইটে নাগাদ ভোটদান পর্ব শেষের পর শুরু হয় গণনার কাজ। বিকেলে একের পর এক আসনে জিততে থাকেন টিএমসিপির প্রার্থীরা। জয়োল্লাসে মাতে টিএমসিপি। মেজাজ হারিয়ে এসএফআই সদস্যরাও টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আচমকা এসএফআই ৪টি আসনে এগিয়ে যেতে থাকলে টিএমসিপি-র লোকেরা এসএফআই সদস্যদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
পুলিশ এসে দু’পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে টিএমসিপি সদস্যরা ইট ছুড়তে থাকেন বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। ইটের আঘাতে গুরুতর জখম হন এসএফআইয়ের জেলাকমিটির সদস্য মলয় মণ্ডল, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইন্দ্রনীল বেরা, কলেজের এসএফআই সদস্য সোমনাথ পালই, স্বপনকুমার জানা, অয়ন প্রধান ও তনুজ রক্ষিত। তাঁদের প্রথমে বাসুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চোখে আঘাতপ্রাপ্ত মলয় ও মাথা ফেটে যাওয়া ইন্দ্রনীলকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা করেই। তন্ময় প্রামাণিক ও শুভঙ্কর দাস নামে দলীয় দুই সমর্থক জখম বলে দাবি করেছে টিএমসিপি-ও। যদিও তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েকের অভিযোগ, “আমরা এগিয়ে যাচ্ছি দেখে ওঁরা আক্রমণ চালিয়েছে। বহিরাগত তৃণমূল নেতা এনে গণনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা হয়েছে।” ‘অনিচ্ছাকৃত’ মারধরের কথা কার্যত স্বীকার করেই টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি দীপক দাসের দাবি, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা জিতছি দেখে ওঁরা কটূক্তি করছিলেন। আমাদের ছেলেরা সহ্য করতে পারেনি। যদিও তা অনভিপ্রেত। মারধরে আমাদের ছাত্ররা ইচ্ছাকৃত ভাবে জড়িয়ে থাকলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কলেজ সূত্রে খবর, ছাত্রসংসদের ৪২টি আসনের ৪টিতে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। এ দিন ৩৮টি আসনের ৩৪টিতে জেতে তারা। ৪টিতে জেতে এসএফআই। মোট ৩৮টি আসন পেয়ে ছাত্রসংসদের দখল নেয় টিএমসিপি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.