|
|
|
|
এবিজি কাজ শুরু না করলে মাল খালাসে অন্য সংস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী শুক্রবারের মধ্যে এবিজি হলদিয়া বন্দরে মাল ওঠানো-নামানোর কাজ শুরু না-করলে অন্য সংস্থাকে সেই কাজের দায়িত্ব দেবেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এবিজি-কে তিন মাসের নোটিস দিয়ে বন্দর ছাড়ার চূড়ান্ত বার্তা দিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার এ কথা জানান বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈন। তবে এবিজি হলদিয়া ছেড়ে চলে গেলে সেখানে মাল খালাসের ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমল যে ফিরে আসবে, সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
এবিজি-র হাত ধরেই হলদিয়া বন্দরে মাল ওঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে আধুনিক ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। অন্য সব বার্থে যখন শ্রমিকেরা হাতে করে পণ্য খালাস করেন তখন দুই এবং আট নম্বর বার্থে যন্ত্র ব্যবহার করে অনেক তাড়াতাড়ি অনেক বেশি কাজ করছিল সংস্থাটি। কিন্তু যথেষ্ঠ পরিমাণ কাজ না পাওয়া এবং বাড়তি শ্রমিক থাকার কারণে লোকসানের কথা বলে হলদিয়া ছাড়তে চেয়েছিল তারা। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সে দফায় থেকে গেলেও কার্যক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা মেটেনি। কাজ না থাকার যুক্তিতে এবিজি ২৭৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করার পরে শুরু হয় আন্দোলন। যার জেরে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই দুই বার্থে কাজ বন্ধ।
১৯ তারিখের মধ্যে ফের কাজ শুরু করার জন্য এবিজি-কে নোটিস দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির পাল্টা বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু করে দেবে তারা। কিন্তু কী রাজ্য সরকার, কী বন্দর কর্তৃপক্ষ, কেউই তাদের সাহায্য করছে না। ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে তারা। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা ওটার কথা।
তার আগেই মোটামুটি ভাবে এবিজি-র বিদায়-বার্তা শুনিয়ে দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এত দিন পর্যন্ত তাঁরা এবিজি-কে ধরে রাখতেই উৎসাহী ছিলেন। তাঁরা বলছিলেন, এবিজি চলে গেলে বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। কিন্তু গত সপ্তাহে হলদিয়া গিয়ে বন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই বন্দর কর্তৃপক্ষের মনোভাব পাল্টে যায়। এখন তাঁরা বলছেন, এবিজি একটি ঠিকাদার সংস্থা মাত্র। বন্দরের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তা মেনে তারা কাজ করতে বাধ্য। কিন্তু বিভিন্ন ধুয়ো তুলে সমস্যা জিইয়ে রাখছে এবিজি। ফলে তাদের বিদায় দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কিন্তু এবিজি চলে গেলে তো বন্দরের পণ্য খালাসে সেই কোদাল-বেলচার যুগ ফিরে আসবে। বন্দর কি তাই চায়? বন্দর চেয়ারম্যান জানান, “কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক আধুনিকীকরণের পক্ষে। সেই নীতি থেকে সরে আসা যাবে না। তবে ২ এবং ৮ নম্বর বার্থ নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। ফলে যন্ত্র নির্ভর পণ্য খালাসের মডেল নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে। অন্য মডেল তৈরির কথাও ভাবতে হচ্ছে।”
|
|
|
|
|
|