দুর্গাপুজোয় নতুন উদ্যোগ প্রয়াগ ইউনাইটেডের। র্যান্টি-কার্লোস-সুব্রত-দীপকদের ছবি-সহ পাঁচশো হোর্ডিং ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ। ছবিতে যাঁরা নেই তাঁরাও ফুটে উঠছেন। তবে এঁদের জায়গা সবুজ ঘাস। গঙ্গাপারের তাঁবুতে রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে হাজার সমালোচনা। তখন উল্টো ছবি সঞ্জয় সেনের দলে। রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাই বুধবার কলকাতা লিগে রেলওয়ে এফসি-কে উড়িয়ে দিল ৪-১।
ভিআইপি বক্সে দলের দুই জোড়া ফলা র্যান্টি ও কার্লোস। কয়েক দিন আগেই আই লিগে মোহনবাগানকে হারানোর ম্যাচে খেলা বেলো, ভিনসেন্ট, অনুপমরা শুধু প্রথম একাদশে। বছর পঁচিশ আগে হলে এ রকম পরিস্থিতির পুরো ফায়দা লুটে মাঠ ছাড়ত রেলওয়ে এফসি। কিন্তু বুধবার যুবভারতীতে খেলার শেষ লগ্নে রঞ্জিত সাউয়ের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে বিপ্লব নস্করের সান্ত্বনা গোল ছাড়া সে ভাবে খুঁজেই পাওয়া গেল না প্রয়াগ কোচের খেলোয়াড়জীবনের দলকে। |
রেলওয়ে এফসি-কে হারানোর তিন নায়ক। লেস্টার, রফিক ও ভিনসেন্ট। ছবি: উৎপল সরকার। |
আসলে কোচ সঞ্জয় সেনের দলে এখন প্রথম একাদশে ঢোকার প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। আর তপন মাইতিদের এই মারকাটারি মনোভাব এবং জেতাটাকে অভ্যাসে পরিণত করাদুইয়ের যুগলবন্দিতে সৌরেন দত্তের রেল দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন ভিনসেন্টরা। জোড়া গোল করে এবং রফিককে দিয়ে গোল করিয়ে ভিনসেন্ট জানান দিলেন, আই লিগে র্যান্টি-কার্লোসদের পাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে ধারাবাহিক ভাবে তৈরি হচ্ছেন তিনি।
লিগে ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল সঞ্জয় সেনের দল। তাই আর এক রেলের সামনে প্রথম ২৫ মিনিট একটু জড়তা ছিল লালকমল ভৌমিকদের খেলায়। র্যান্টি যদিও বলছেন, “বিপক্ষে ছোট দল বলে তেতে উঠতে সময় লেগেছে।” ২৬ মিনিটে বাঁদিক থেকে আসা রফিকের ক্রসে ডান পা ছুঁইয়ে ভিনসেন্ট প্রথম গোল করতেই স্বমহিমায় প্রয়াগ। দু’মিনিট পরেই জেমস সিংহের পাস ধরে দ্বিতীয় গোল ভিনসেন্টের। ৬২ মিনিটে বাঁদিক দিয়ে কাট করে ঢুকে যে বল রেখেছিলেন ভিনসেন্ট তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি রফিক। চতুর্থ গোল মাঝমাঠ থেকে তপন মাইতির বাড়ানো বল ধরে একক প্রয়াসে করে যান লেস্টার ফার্নান্ডেজ। ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের গ্রুপে প্রয়াগই শীর্ষে।
প্রয়াগ ইউনাইটেড: ঈশান, চন্দ্রশেখর, বেলো, অনুপম, রবিন্দর, জেমস, লালকমল, তপন, লেস্টার, রফিক (শঙ্কর), ভিনসেন্ট। |