আগামী ৫ ডিসেম্বর যদি ইডেনের প্রেসিডেন্ট বক্সে জনৈক অশীতিপর সাহেবকে বসে থাকতে দেখেন, আর পাঁচ জন সাহেবসুবোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। ভদ্রলোকের নাম কিন্তু টেড ডেক্সটার হতেই পারে!
আর ক্লাবহাউসের আশেপাশে কোনও ভদ্রলোকের চেহারায় নরি কন্ট্রাক্টরের আদল খুঁজে পেলে? আশ্চর্য হবেন না। উনি সত্যিই কন্ট্রাক্টর হতে পারেন!
টেড ডেক্সটার এবং নরি কন্ট্রাক্টর। পঞ্চাশ বছর আগের দুই অধিনায়ক। ’৬১-র সিরিজে ইডেন টেস্টে যাঁরা ইংল্যান্ড এবং ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। যাঁরা আজ পর্যন্ত ইডেনে খেলে যাওয়া দু’দলের জীবিত অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন। দু’জনেই ঐতিহাসিক। কারণ, ডেক্সটারের টিমকে হারিয়েই প্রথম কোনও টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ দেশকে দিয়েছিলেন কন্ট্রাক্টর। এবং এই দু’জনকে ডিসেম্বরের ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের সময় নিয়ে আসার প্রবল চেষ্টা করছে সিএবি। |
শীতের ইডেনে বিশেষ অতিথি: কন্ট্রাক্টর ও ডেক্সটার। |
বুধবারের ইডেনে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তিন সদস্যের টিমকে সিএবি-র পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেওয়া হল। সিএবি-কে সরকারি ভাবে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। ডিসেম্বরে কলকাতায় সফরকারী ইংল্যান্ড টিমের সঙ্গে দশ-বারো জন অতিথির আসার কথা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ওই বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ডেক্সটারের নামও থাকতে চলেছে। “আমরা ইসিবি কর্তাদের সঙ্গে আজ কথা বলেছি। সিএবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ডেক্সটার-কন্ট্রাক্টরকে খুব তাড়াতাড়ি আমন্ত্রণ পাঠানো হবে,” বলে দিলেন সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে। নরি কন্ট্রাক্টরের স্ত্রী আবার অসুস্থ। সেই কারণে কন্ট্রাক্টর বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোন না। শেষ পর্যন্ত যদি কন্ট্রাক্টর এবং ডেক্সটার আসেন, তা হলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন একটা ব্যাপার দেখে। ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের বাইরের জগতটাও কত পাল্টে গিয়েছে! |
নিয়ন্ত্রণে নিশিযাপন |
১) সমস্ত ইংরেজ ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীর নাম আগেভাগে জমা করতে হবে।
২) বাইরের কোনও মহিলার ইংরেজ ক্রিকেটারদের হোটেল ঘরে ঢোকা নিষিদ্ধ।
৩) নৈশপার্টি বা নাইট ক্লাবে একা যাওয়া চলবে না। গেলেও যেতে হবে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে। |
|
যেমন ইংরেজ ক্রিকেটারদের নৈশজীবনের উপর ফতোয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গেইল-বিতর্ককে টেনে এনে এ দিন নানা রকম বিধিনিষেধের কথা ইসিবি কর্তাদের জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। বুধবার ইডেন পরিদর্শন সেরে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিন ইসিবি কর্তা। সঙ্গে সিএবি-র পক্ষ থেকে ছিলেন যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। বৈঠকেই জানানো হল, ইংরেজ ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীদের নাম আগেভাগে জমা করতে হবে পুলিশের কাছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈধ সম্পর্ক নেই, এমন কোনও মহিলার টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের ঘরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। নাইট ক্লাব বা কোনও নৈশ পার্টিতে যেতে হলেও পুলিশের কাউকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। |