নতুন স্বাদ দিচ্ছি।
ভাল লাগবেই। |
দু’মাস আগে থেকেই
শুরু হয়ে যায় কাউন্টডাউন। |
দেব এক বার প্যান্ডেলে
এলে জমে ক্ষীর! |
ওস্তাদের বয়স: ৫৪ (হাফ সেঞ্চুরি করেই ফের বাউন্ডারি)
ট্যাঁকের জোর: সাড়ে তিন লাখ। কম পড়লে অসুবিধা নেই। এলাকার মানুষ সঙ্গে আছেন।
প্লাস পয়েন্ট: কাটোয়ার করুয়া গ্রামের জাতশিল্পীদের দেওয়া হয়েছে মণ্ডপসজ্জার ভার। ব্যবহার করা হচ্ছে খেজুর গাছের ফুল ও খড়। খড়ের মণ্ডপের কথা শুনে প্রথমে অনেকে নাক সিঁটকেছিলেন। ক্রমশ চোখ ট্যারা হচ্ছে।
মাইনাস পয়েন্ট: এস টি কে কে রোডের ধারেই মাথা তুলেছে মণ্ডপ। ভিড় বাড়লে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। চোখ রাঙাতে পারে পুলিশ!
থিম: বাঁকুড়ার মারাংবুরু মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মূল আকর্ষণ বাঁসোয়া মডেল। ঢোকার মুখেই বাবুই পাখির বাসা। প্রধান শিল্পী মহাপ্রসাদ বাগের দাবি, ভেল্কি এখানেই শেষ নয়, ভিতরে থাকছে খড়ের ঝাড়বাতি। দশাবতারের মূর্তিও। বাড়তি পাওনা ডেঙ্গি নিয়ে নানা জ্ঞান। লাঙল, বলদ নিয়ে চাষি চাষ করছেন। উৎপন্ন ফসল ঝাড়াই বাছাই করছে মজুরের দল। তারপর তা চলে যাচ্ছে গোলায়।
তুরুপের টেক্কা: ১২৮ বোঝা খড়! পাটুলির শিল্পী স্বপন পাল তৈরি করেছেন প্রতিমা ও দশাবতারের ছবি। এক কর্তা এ সব ব্যাখ্যান দিতে না দিতেই অন্য কর্তা তেড়েফুঁড়ে বলে ওঠেন, “এই সামলে! সবটা ওপেন না হয়ে যায়!”
পুজো প্লাস: তেমন কিস্যু নেই। নির্ভয়ে ঠাকুর দেখুন, এই অভয়টুকু ছাড়া।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে: ওদের চিন্তায় নতুনত্ব কই? তেমন আভিজাত্যই বা কোথায়? |