পুজোর মুখে রায়গঞ্জ শহরে বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্য, যানজট ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে থাকায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে রায়গঞ্জ থানার আইসি, ট্রাফিক পুলিশের ওসিকে সতর্ক করে দিলেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার দুপুরে কর্ণজোড়ায় জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে পুজো গাইড ম্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসি ও ওসিকে ভর্ৎসনা করে সতর্ক করেন পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার জানান, রায়গঞ্জ শহরে বাইকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বেশিরভাগ বাইকেরই নম্বরপ্লেট বিকৃত ও নম্বর বোঝা যায় না। শহরে যানজট বাড়ায় বাসিন্দারা নাকাল হচ্ছেন। বাস ও ট্রেকার রাস্তায় যাত্রী নামাওঠা করাচ্ছে। গত কয়েক দিনে বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা তিন জনের টাকা ও সোনার মালা ছিনতাই করেছে। তুলসীতলা এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও অলঙ্কার লুঠ করে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে। ট্রেকার অতিরিক্ত যাত্রী চাপিয়ে চলাচল করছে। বেআইনি ভুটভুটি ঢুকে যানজট বাড়িয়ে দিচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে বাসিন্দারা পুলিশের উপর ভরসা হারাবে। এরপরই দীপঙ্করবাবু রায়গঞ্জ থানার আইসি সমীরকুমার পাল ও ট্রাফিক পুলিশের ওসি কৃষ্ণেন্দু দাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা সতর্ক হয়ে নজরদারি বাড়ান। শহরের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখুন। এ সব চলতে থাকবে, আর ট্রাফিক পুলিশ সহ সাধারণ পুলিশকর্মীরা শহরে বসে থাকবে তা বরদাস্ত করা হবে না।” আইসি বলেন, “বেপরোয়া বাইকের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হয়েছে। গত তিন দিনে ১৫টি বাইককে আটক করে চালকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।” মানুষকে সচেতন করা নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে ট্রাফিকের ওসি জানিয়েছেন। এ দিন শহরের পুজো গাইডম্যাপ প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, ম্যাপের রাস্তার নির্দেশিকা, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের বিবরণ, যান নিয়ন্ত্রণ, স্ট্যান্ড, পুলিশ-সহ বিভিন্ন জরুরি টেলিফোন নম্বর থাকছে। এদিন থেকেই পুলিশের উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ম্যাপ লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাসিন্দাদের তা বিলির কাজ শুরু হয়েছে। শহরের বড় মণ্ডপগুলির সামনে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। |