গৌতমের কৃতিত্ব মানছে দিল্লিও, আসছেন কারাট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতার বুকে ভিড়ে-ঠাসা জমায়েত করে দেখিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কদর বাড়ল গৌতম দেবের! রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির গত ১ অক্টোবরের জমায়েত দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলেই মনে করছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিনও এই বিষয়ে গৌতমবাবুদের পাশে।
বস্তুত, পঞ্চায়েতে আমলাতান্ত্রিক খবরদারি, সন্ত্রাসের মতো বিষয়ে প্রতিবাদের জন্য ডাকা হলেও রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির ওই সমাবেশের অন্যতম লক্ষ্য আলিমুদ্দিনও ছিল বলে সিপিএমের একাংশের ব্যাখ্যা। সেই লক্ষ্যে গৌতমবাবু অনেকটাই সফল। দিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্যসমাপ্ত বৈঠকে রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ওই সমাবেশের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। বিমানবাবু নিজেও ওই সমাবেশে অন্যতম বক্তা ছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাজ্য সম্পাদকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটিকে ওই কর্মসূচি রূপায়ণ করতে হয়েছিল। তা ছাড়া, কোনও একটি বিষয়কে সামনে রেখে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার-কর্মসূচি নিয়ে চলার ক্ষেত্রে দলের বহু অংশেই ইদানীং গাফিলতি চোখে পড়ে। সেই জায়গায় রানি রাসমণির কর্মসূচির জন্য গোটা জেলার নানা প্রান্তে মাস তিনেক ধরে গৌতমবাবুরা টানা যে ভাবে সভা-সমাবেশ করে গিয়েছেন, তা-ও উল্লেখযোগ্য বলে আলিমুদ্দিন মনে করছে। তাদের রিপোর্ট পেয়ে প্রকাশ কারাটেরাও মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এই ধরনের প্রয়াস দলের কাছে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
দলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক সচেতনতার পাঠ দিতে আজ, বুধবারই কলকাতায় রাজ্য পার্টি ক্লাসে আসছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক কারাট। জাতি ও জনগোষ্ঠীগত বিষয়, পরিচিতি সত্তার রাজনীতির সঙ্গে কমিউনিস্টদের খাপ খাওয়ানোর কৌশল নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করার কথা কারাটের। পরে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের জমায়েতেও বক্তা তিনি। |