সুগন্ধি পোলাও অথবা পঞ্চব্যাঞ্জন-সহ সাদা ভাত নয়। নয় মাছের বিরাট মাথা কিংবা মাংসের কোনও পদ। বিষ্ণুপুরের হাজরাপাড়ার কর্মকার বাড়িতে মায়ের প্রসাদ কখনও চিঁড়ে, কখনও দুধ-লুচি, মিষ্টি। ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই পুজোয় এ ভাবেই দেবী দুর্গাকে ভোগ নিবেদন করা হচ্ছে। পরিবারের বর্তমান কর্তা অশোক কর্মকারের কথায়, “বাবা-দাদুদের সময় থেকে দেখে আসছি, অষ্টমীতে দুধ-লুচি, বাকি সপ্তমী-নবমী ও দশমীতে চিঁড়ের ভোগ দেবীকে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই নানা রকমের মিষ্টি দেওয়া হয়। মিষ্টিও বহুরকমের হয়। যেমন, কোলনাড়ু, নারকেল নাড়ু, খাজা, মণ্ডা থেকে জিলিপি, গুড়ের লবাত, বোঁদে ইত্যাদি।” এখনও কর্মকার বাড়িতে সেই প্রথা চালু রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অষ্টমীতে ১ সের দুধে মাখা হয় ৫০০ গ্রাম আটা, ৩০০ গ্রাম গাওয়া ঘি, ২৫০ গ্রাম চিনি। তা থেকেই তৈরি হয় দুধ-লুচি। এর সঙ্গে থাকে নানা ফল, মিষ্টি। সপ্তমী-নবমী ও দশমীর প্রসাদে প্রতিদিনই দু’কিলোগ্রাম চিঁড়ের সঙ্গে মাখা হয় ৫০০ গ্রাম গুড়। এই প্রসাদেও সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফল-মূল এবং মিষ্টি।” তিনি জানান, “সকাল-সন্ধ্যা দু’বেলা পুজো হয়। বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির মতো এখানেও প্রতিমারও নিরঞ্জন হয়না।” প্রাচীন এই বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে ভিড় করেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। পুজোর পরে হাতে-হাতে প্রসাদও পান দর্শনার্থীরা। পুজো উপলক্ষে পরিবারের সব সদস্যর উপস্থিতিতে জমজমাট থাকে কর্মকার বাড়ির পুজো প্রাঙ্গণ।
|
একটি ইস্পাত কারখানা ও মেজিয়ার অর্ধগ্রাম পঞ্চায়েত যৌথ ভাবে একটি পানীয় জল প্রকল্প চালু করল। সোমবার রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। |